দুর্নীতির মামলায় দলীল লিখককে গ্রেপ্তার করেছে দুদক

বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে নোয়াখালীতে দুর্নীতির মামলায় এক দলীল লিখক কে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নোয়াখালী পৌরসভা এলাকার কেজি স্কুলের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুর্নীতি দমন কমশিন নোয়াখালী কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুবেল আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গ্রেপ্তারকৃত মো.জামাল উদ্দিন সদর উপজেলার উত্তর ওয়াপদা বাজার সংলগ্ন পূর্ব শুল্লকিয়া গ্রামের হাজী আব্দুল মান্নানের ছেলে।
মামলার আসামিরা হলো, সুবর্ণচর উপজেলার পশ্চিম চর জব্বর চর রশিদ গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে মো. শাহজাহান, সদর উপজেলার পাক কিশোরগঞ্জ জালিয়াল এলাকার সেকান্দার মিয়ার ছেলে মো. শরিফ উল্যাহ, একই এলাকার ছায়েদল হকের ছেলে সেকান্দার মিয়া এবং উত্তর ওয়াপদা পূর্ব শুল্লুকিয়া গ্রামের হাজী আবদুুল মান্নানের ছেলে ও সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক জামাল উদ্দিন।
নোয়াখালী সদর রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক মো. জামাল উদ্দিনসহ (সনদ নং-৩৩৭১) ৪ জনের বিরুদ্ধে উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড সোনাপুর শাখার ৭০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রূপান্তর এবং একইসঙ্গে সরকারের এক লাখ ১২ হাজার ৩২০ টাকা রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে নোয়াখালীর সহকারী পরিচালক সুবেল আহমেদ বাদী হয়ে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
দুদক সূত্র জানায়, নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার আবদুল্লাহ মিয়ারহাট বাজারের মেসার্স জননী ট্রেডার্সের মালিক শাহাজাহান আব্দুল্লাহ তার প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ধরনের সয়াবিন, বাদাম, ডাল, যাবতীয় ভুসিমালের পাইকারি ব্যবসা করতেন। গত ২০১৪ সালের ১০ই সেপ্টেম্বর শাহজাহান তার ব্যবসা সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে উত্তরা ব্যাংক সোনাপুর শাখা থেকে ৫৫ লাখ টাকা ঋণ সুবিধা গ্রহণের জন্য শাখা ব্যবস্থাপক বরাবর আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শাখা কর্তৃক ঋণ প্রস্তাব উত্তরা ব্যাংক প্রধান কার্যালয় ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। পরে ৪৭.৩৫ শতাংশ জমি বন্ধক নিয়ে ৫০ লাখ টাকা ঋণ বিতরণ করে।
এরপর ২০১৬ সালের ৩০শে নভেম্বর পুনরায় ব্যবসা বাড়ানোর জন্য আরও ৯.৬৫ শতাংশ আবাসিক জমির ওপর নির্মিত একতলা বাড়ি বন্ধক রেখে ঋণসীমা ৭০ লাখ টাকা বৃদ্ধির আবেদন করেন। অনুমোদন পাওয়ার পর উত্তরা ব্যাংক সোনাপুর শাখা নতুন ৯.৬৫ শতাংশ আবাসিক জমিসহ মোট ৫৭ শতাংশ জমি সদর সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়, নোয়াখালীর বন্ধকী দলিল মূলে সম্পাদন করেন। উল্লেখিত ৯.৬৫ শতাংশ জমি সেকান্দর মিয়ার কাছ থেকে সদর সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের মাধ্যমে ক্রয় করে একতলা বাড়ি তৈরি করেন শাহজাহান। সেকান্দর মিয়া শাহজাহানের স্ত্রীর বড় বোনের স্বামী।
এএজেড
