উদ্ধার হওয়া রক্তাক্ত সেই নারী ৩ সন্তানের জননী
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে অচেতন ও রক্তাক্ত অবস্থায় মালা বেগম (৩২) এক নারীকে উদ্ধার করে ভূঞাপুর থানা পুলিশ। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ভূঞাপুর-তারাকান্দি মহাসড়কের উপজেলার অর্জুনা ইউনিয়নের তারাই কবরস্থানের পাশ থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করা হয়। পরে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে।
মালা বেগম ভূঞাপুরের পার্শ্ববর্তী গোপালপুর উপজেলার নলীন গ্রামের দেলোয়ার খানের স্ত্রী এবং উপজেলার অর্জুনা ইউনিয়নের জগৎপুরা গ্রামের তারা খানের মেয়ে। এ ঘটনায় বুধবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে মোবারক নামে এক সিএনজি চালককে আটক করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করছে ভূঞাপুর থানা পুলিশ।
এ প্রসঙ্গে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম জানান, মরদেহের মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ওই নারীকে অজ্ঞাত কেউ হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করে। এ ঘটনায় এক সিএনজি চালককে আটক করে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবে, এখনো হত্যার আসল রহস্য উদঘাটন হয়নি। এ ঘটনায় হত্যা মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ওই নারীর ভাই।
মালার চাচাতো ভাই আলমগীর হোসেন জানান, মঙ্গলবার তাড়াই কবরস্থানের পাশে সড়কের উপর রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিল মালা। পরে স্থানীয় এক ব্যক্তব জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ নম্বরে ফোন করে। পরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে চাচাতো বোনকে অসচেতন ও রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। তার মাথায় গুরুত্বর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এরআগে মালা ঢাকায় গার্মেন্টকর্মী বোন শাপলার বাসায় বেড়াতে যায়। সেখান থেকে বোনকে না জানিয়ে মঙ্গলবার রাতে বাড়ির উদ্দেশ্যে চলে আসে। পরে রাতে ভূঞাপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে সিএনজিযোগে বাবার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পরে ভূঞাপুর-তারাকান্দি আঞ্চলিক মহাসড়কের তাড়াই কবরস্থানের পাশ অবচেতন ও রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পায় স্থানীয়রা।
এদিকে, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান দিদারুল আলম খান মাহবুব জানিয়েছেন, বুধবার দুপুরে মালার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। ময়নাতদন্ত শেষে সন্ধ্যার পর মরদেহ বাড়ি নিয়ে আসার প্রস্তুতি চলছে। রাতেই তার মরদেহ দাফন কাজ সম্পন্ন করা হবে। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি আরও জানান, ধারণা করা হচ্ছে তাকে কেউ হত্যা করেছে।
এএজেড