ঘুষ গ্রহণের ভিডিও ধারণ, সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি
ঘুষ গ্রহণের ভিডিও ধারণ করায় ঢাকা প্রকাশের সাভার উপজেলা প্রতিনিধির উপর চড়াও হন ধামরাই উপজেলার কালামপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের নকলনবিস পারুল আক্তার ও তার অনুগত কর্মচারীসহ দালাল চক্র। এ সময় তারা ওই সাংবাদিককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকি দেন। সোমবার (১৭ অক্টোবর) দুপুর সারে বারোটায় ধামরাই উপজেলার কালামপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের ভিতরেই এঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে ঢাকা প্রকাশের সাভার উপজেলা প্রতিনিধি সাকিব আসলাম বলেন, গত ১৩ অক্টোবর কালামপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের নকলনবিশ আবু বকরের উপর অফিসের ভিতরেই হামলা চালায় নকলনবিশ পারুল আক্তার ও তার দালাল চক্র। এতে আবু বকর আহত হয়ে নিকটস্থ পদ্মা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। সেই তথ্য আমার কাছে গতকাল (রবিবার) পৌছালে আমি নকলনবিশ আবু বকরকে কল দেই।
আবুবকর আমাকে জানান আগামীকাল সোমবার সাব-রেজিষ্টার হামলার ঘটনার বিচার করবেন। হামলা ও বিচারের তথ্য সংগ্রহ করতে আমি এবং দেশ বাংলার হাসান ভুইয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে যাই। অফিসে গিয়ে দেখি সাব-রেজিস্ট্রার আব্দুল মতিন এজলাসে আছেন। হামলা ও বিচারের ঘটনায় ওনার বক্তব্য প্রয়োজন, সেটা ওনাকে জানালে উনি আমাদেরকে অপেক্ষা করতে বলেন।
এরপর আমরা রেকর্ড রুমের সামনে গেলে দেখতে পাই নকলনবিশ পারুল আক্তার রেকর্ড রুমের ভিতরে বসেই প্রকাশ্যে ঘুষ গ্রহণ করছে। আমরা সেই ভিডিও গোপনে ধারন করি। পরে আমরা বিষয়টি নিয়ে সাব-রেজিস্ট্রারের সাথে কথা বলি। এসময় পারুল আক্তার তার অনুগত কর্মচারীদের মাধ্যমে আমাদের কথোপকথন জানতে পারে। আমরা সাব-রেজিস্ট্রারের কাছে জানতে চাই রেকর্ড রুমের ভিতরে একজন নকলনবিশ কিভাবে বসতে পারে। তখন তিনি বলেন ওটা পুরোটা রেকর্ড রুম না, আপনারা গিয়ে দেখতে
পারেন।
তারপর আমি রেকর্ড রুমের সামনে দাড়ালে পারুল আক্তার রুম থেকে বের হয়ে আমার দিকে তেরে আসেন। সেই সাথে পারুল আক্তার ও তার অনুগত কর্মচারীসহ দালাল চক্র আমাদের ধমকাতে থাকে। তারা বলে, তাড়াতাড়ি এই জায়গা থেকে না গেলে বড় ধরনের বিপদ হবে। আমি তাড়াতাড়ি সিড়ির দিকে যাই, সেই সময় অজ্ঞাতনামা একজন মারার উদ্দেশ্যে আমার হাত ধরে টান দেয়। আমি হাত ছুটিয়ে দ্রুত অফিসের বাইরে চলে যাই।
এ বিষয়ে দৈনিক দেশবাংলা শিল্পাঞ্চল প্রতিনিধি হাসান ভূইয়া বলেন, ওই অফিসের একটি মারামারি ঘটনার তথ্য সংগ্রহের জন্য গিয়ে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করার পরে আমরা সাব রেজিস্ট্রারের সাথে কথা বলি। পরে আমি নিচে নেমে আসি। এ সময় সাকিব আসলাম রেকর্ড রুমে নকলনবিশ বসার বিষয়ে কথা বলতে গেলে তারা তার ওপরে চড়াও হয়। পরে আমি দৌড়ে গিয়ে কিছু ভিডিও ধারণ করি। এ সময় তারা আমাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন।
এএজেড