কমেছে পেঁয়াজের দাম, ক্রেতাদের মাঝে স্বস্তি
ক্রেতা সংকটের কারণে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে পাইকাড়িতে পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ৪ থেকে ৫টাকা করে। একদিন পুর্বেও বন্দরে প্রতি কেজি ইন্দো জাতের পেঁয়াজ ৩৬ থেকে ৩৭টাকা বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ৩২ থেকে ৩৩টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। দাম কমতে শুরু করায় স্বস্তি ফিরেছে বন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকারগনের মাঝে।
হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকার মেহেদুল ইসলাম বলেন, পুজার বন্ধের পর বন্দর দিয়ে আমদানি শুরুর পর থেকেই পেঁয়াজের দাম বাড়তি। আগে যে পেঁয়াজ ২২টাকা বিক্রি হয়েছে সেই পেঁয়াজ দাম বাড়তে বাড়তে ৩৬ থেকে ৩৭ টাকা হয়ে গেছিল। যার কারনে আমরা বন্দর থেকে পেঁয়াজ ক্রয় করে ঢাকা চট্টগ্রামসহ যেসব মোকামে পেঁয়াজ পাঠাতাম সেসব মোকামে ভয়ে আর পেঁয়াজ ক্রয় করছেনা।
একান্তই যাদের প্রয়োজন তারা এক দু ট্রাক করে পেঁয়াজ কিনছিল। কিন্তু আমরা বাড়তি দামের কারনে বন্দর থেকে পেঁয়াজ কিনতেই সাহস পাচ্ছিলামনা। বর্তমানে পেঁয়াজের দাম কমতির দিকে রয়েছে এতে করে মোকামগুলো থেকে পেঁয়াজ এর খোজ খবর নিচ্ছেন। অল্প করে পেঁয়াজের ওয়ার্ডার পাচ্ছি দাম যদি আরো কমে তাহলে মোকামে চাহিদা যেমন বাড়বে তেমনি বেচাকেনাও জমে উঠবে।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী আইয়ুব আলী বলেন, দেশের বাজারে চাহিদা মেটাতে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তবে ভারতের ব্যাঙ্গালোর অঞ্চলে বন্যার কারনে বেলোরি জাতের পেঁয়াজ ইতোমধ্যেই বাজারে আসার কথা ছিল। কিন্তু সম্প্রতি বন্যার কারনে ওই অঞ্চলে পেঁয়াজের ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। পেঁয়াজ পচে নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারনে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ কমে গেছে। এতে করে ভারতের বাজারেই সরবরাহ কমের কারনে পেঁয়াজের দাম বাড়তি রয়েছে।
এছাড়া ভারত থেকে পণ্যবাহি ট্রাক দেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে অনলাইন পদ্ধতি চালু করেছে যার কারনে ট্রাক কম ঢুকছে সেই সাথে ট্রাক প্রতি অনলাইন ফি দিতে হচ্ছে যা পণ্যের উপর গিয়ে পড়ছে। ভারতে বাড়তি দামে পেঁয়াজ ক্রয় করতে হওয়ার কারনে দেশের বাজারেও পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। কিন্তু হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বাড়ায় ঢাকা চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন মোকামগুলোতে পেঁয়াজের বেচাকেনা কমে গেছে।
আবার অনেক মোকামে বিক্রি না হওয়ায় পুর্বের ক্রয় করা পেঁয়াজ রয়ে গেছে। এতে করে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে যে পাইকারগন হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসতেন তারাও তেমন আসছেনা। আবার আসলেও পেঁয়াজ ক্রয়ের পরিমান কমিয়ে দিয়েছেন এতে করে চাহিদা কমার কারনে লোকশান করে হলেও পেঁয়াজ বিক্রি করে দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এর উপর গরমে পেঁয়াজ পচে নষ্ট হওয়ার আশংকায় অনেকে কম দামেও বিক্রি করে দিচ্ছেন।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন,বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তবে পেঁয়াজ আমদানির পরিমান আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কমেছে। শনিবার বন্দর দিয়ে যেখানে ৩৩টি ট্রাকে ৯১৯টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল সেখানে রবিবার ২৭টি ট্রাকে ৭৮৯টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। আজ সোমবার বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে।
এএজেড