নোয়াখালীতে নারী শিক্ষার্থীসহ ২ মরদেহ উদ্ধার

নোয়াখালী জেলার পৃথক স্থান থেকে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার (১৫ অক্টোবর) সদর উপজেলার নোয়াখালী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষীনারায়ণপুর মহল্লা থেকে নারী শিক্ষার্থীর ও সুবর্ণচর উপজেলার ২ নম্বর চরবাটা ইউনিয়নের দক্ষিণ চরমজিদ গ্রাম থেকে অটোচালকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন-নোয়াখালী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষীনারায়ণপুর মহল্লার আব্দুর রহিমের মেয়ে রাবিনা আক্তার মিম (১৬)। তিনি স্থানীয় এম এ রশিদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ফল প্রত্যাশী ছিল। অপরজন সুবর্ণচর উপজেলার ২ নম্বর চরবাটা ইউনিয়নের দক্ষিণ চরমজিদ গ্রামের মো.নুর করিম বাহারের ছেলে জসিম উদ্দিন (৩৫)। তিনি পেশায় একজন অটোরিকশা চালক ছিলেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এসএসসি ফল প্রত্যাশী রাবিনা আরেক বোনসহ ফুফুর সঙ্গে ভাড়া বাসায় বসবাস করত। তার বাবা প্রবাসী। পরিবারের সদস্যদের অজান্তে সন্ধ্যা ৬টার দিকে তিনি শয়ন কক্ষের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এ বিষয়ে সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিক এ আত্মহত্যার কোনো কারণ জানা যায়নি। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হবে।
অপরদিকে দীর্ঘদিন থেকে পেটের জটিল সমস্যায় ভুগছিলেন অটোরিকশা চালক জসিম । শনিবার রাত ৯টার দিকে পরিবারের সদস্যদের অজান্তে নিজ ঘরের পাশে থাকা গাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেব প্রিয় দাশ বলেন, পরিবারের সঙ্গে কথা বলে আইনগত প্রদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এসআইএইচ
