পুলিশের সঙ্গে ভারতীয় নাগরিকের ধস্তাধস্তি, ছিনিয়ে নিল মোবাইল
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে মাদক বিক্রির টাকাকে কেন্দ্র করে ভারতীয় মাদক কারবারির সঙ্গে মাদক ক্রয় করতে যাওয়া সুকু মিয়া নামে এক বাংলাদেশির ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। এসময় সীমান্তে জিরোলাইনে মামলার তদন্ত শেষে ফেরার সময় এ ঘটনা দেখে এগিয়ে গেলে মাদক কারবারির সঙ্গে দুই পুলিশ সদস্যের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় ভারতীয় মাদক কারবারি।
শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের নাখারজান সীমান্তের ৯৪১নং মেইন পিলারের সাব পিলার ৩ এসের কাছে ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার এক ঘণ্টা পর পুলিশ সদস্যের মোবাইল ও চশমা উদ্ধার করে বিজিবি।
নাখারজান সীমান্ত এলাকার গোলাম রব্বানী ও আব্দুস ছালাম জানান, শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের জহুরটল এলাকার জোবেদ আলীর ছেলে সুকু মিয়া মাদক কেনার জন্য ৯৪১নং মেইন পিলারে সাব পিলার ৩ এসের কাছে যায়। এসময় কাঁটাতারের বাইরে ভারতের কোচবিহার জেলার দিনহাটা থানার শেইটি টু-শুকারের কুটি গ্রামের মাদক কারবারি সহিদুল ইসলাম ও তার ছোট ভাই রশিদুল ইসলামের কাছ থেকে মাদক কেনার জন্য সুকু মিয়া জিরোলাইনের নীলকুমার নদীর তীরে যায়। সেখানে মাদকের টাকা দেওয়ার সময় তাদের মাঝে বিবাদ সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এমন সময় ফুলবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পলাশ চন্দ্র রায় ও কনস্টেবল সুকুমার চন্দ্র রায় মামলার তদন্ত শেষে সাদা পোশাক অবস্থায় ওই পথে আসার সময় মারামারির দৃশ্য দেখে এগিয়ে যায়। তখন ভারতীয় মাদক কারবারিদের চিৎকারে সেখানে নারী-পুরুষ জড়ো হলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফুলবাড়ী থানার ওসি ফজলুর রহমান ঘটনাস্থল থেকে এসআই পলাশ চন্দ্র রায় ও কনস্টেবল সুকুমার চন্দ্র রায়কে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এসময় মাদক কিনতে যাওয়া সুকু মিয়া ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
এদিকে খবর পেয়ে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবির অধীন গংগারহাট ক্যাম্পের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে টহল জোরদার করে। পরে বিষয়টি ভারতীয় ১৩৮ ব্যাটালিয়নের অধীন সেওটি ক্যাম্পের বিএসএফকে অবগত করলে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশের মোবাইল ফোন ও চশমা উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে গংগাহাট ক্যাম্পের টহলরত বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে।
এ বিষয়ে গংগারহাট বিজিবি ক্যাম্পের ইনচার্জ আবু হানিফ জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে বিষয়টি বিএসএফকে অবগত করা হয়। পরে এক ঘণ্টা পর পুলিশের হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন ও চশমা উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) ফজলুর রহমান জানান, মামলা তদন্ত করার সময় বাংলাদেশি আর ভারতীয় নাগরিকদের ধস্তাধস্তির ঘটনা দেখে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হলে সামান্য ধস্তাধস্তি হয়।
এসজি