আলীকদমে আগুনে পুড়ে গেল ১২ দোকান-বসতঘর

বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় ১২টি কাঁচা বসতঘর ও দোকান আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) ভোরে উপজেলা সদর ইউনিয়নের খুইল্যামিয়া পাড়ার বারেক মুন্সির কলোনিতে এ আগুন লাগে।
বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম, নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুবা ইসলাম, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নাছির উদ্দিনসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ আগুন নিভানোর কাজে দিক নির্দেশনা দেন।
সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে দিকে আলীকদম সদর ইউনিয়নের খুইল্যামিয়া পাড়াস্থ বারেক মুন্সীর কলোনিতে হঠাৎ আগুন জ্বলে ওঠে। দ্রুত আগুন আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় লামা ও আলীকদম উপজেলার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের দুইটি টিম প্রায় আড়াই ঘণ্টা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ততক্ষণে পাড়ার আব্দুস সোবহান, কেশব ধর, তুষার ধর ও মো. হারুনের কাঠের দোকান, শাহ আলমের ফার্নিচারের দোকান, মহি উদ্দিনের মুদি দোকান, নজরুল ইসলামের মেশিনারিজ দোকান, কলোনির ভাড়াটিয়া নুরুল হক, সামশুল আলম, ফারজানা আক্তার, সালাউদ্দিন ও ছেনুয়ারা বেগমের বসতঘরসহ ঘরের জিনিসপত্র সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত বসতঘরের মালিক ছেনুয়ারা বেগম ও সালাউদ্দিন বলেন, আগুনের সূত্রপাত কোথা থেকে তা জানি না। যখন আগুন দেখতে পাই ততক্ষণে আগুন দ্রুত চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এ কারণে ঘর ও দোকানের কোনো জিনিসপত্র রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র ফাইটার শাহাদাত হোসেন বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আলীকদম ও লামা উপজেলার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের দুটি ইউনিটের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। প্রাথমিকভাবে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে বসতঘর ও দোকান মালিকের ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আলীকদম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহরুবা ইসলাম বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ অর্থ, আবাসন, শুকনো খাবার ও রান্না সামগ্রী সহায়তা করা হয়েছে।
এসএন
