মামলা না নেওয়ায় চিলমারীর ওসিকে নোটিশ
কুড়িগ্রামের চিলমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আতিকুর রহমানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ভুক্তভোগী নারীর মামলা নথিভুক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়। বুধবার (১২ অক্টোবর) বিকালে কুড়িগ্রামের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মজনু মিয়া এ আদেশ দেন।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করে সংশ্লিষ্ট আদালতের পেশকার লিয়াকত আলী জানান, হামলার শিকার এক ভুক্তভোগী নারী থানায় মামলা করতে গেলে মামলা না নেওয়ায় আদালত এ আদেশ প্রদান করে।
তিনি আরও জানান, ভুক্তভোগী নারীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের বিচারক মামলা রেকর্ড আদেশের পাশাপাশি ওসিকে কারণ দর্শানোর আদেশ দিয়েছেন। আদেশের কপি থানায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এদিকে আদালত থেকে কোনও আদেশ পাননি বলে জানিয়েছেন চিলমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আতিকুর রহমান।
তিনি জানান, অভিযোগকারী কোনও লিখিত অভিযোগ নিয়ে থানায় আসেননি। তার সাথে আমার মোবাইলে কথা হয়েছে। তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন তিনি এ বিষয় নিয়ে থানায় আসেননি। আদালত থেকে আদেশের কপি হাতে পেলে বিষয়টি পরিস্কার হতে পারব। অভিযোগকারী থানায় এলে অবশ্যই তার অভিযোগ নেওয়া হবে।
আদালত সূত্র জানায়, নুরনেছা বেগম (৫০) নামে চিলমারী উপজেলার এক নারী হামলার শিকার হলে তার মাথা ফেঁটে যায়। এতে মাথায় ৭টি সেলাই দিতে হয়। রাজু মিয়াসহ ওই নারী হাসপাতালের সনদ নিয়ে চিলমারী থানায় মামলা করতে গেলে থানা থেকে ওই ভুক্তভোগী নারীকে আদালতের মাধ্যমে মামলার পরামর্শ দেওয়া হয়। পরে ফৌজদারী কার্যবিধি ও পুলিশ রেজুলেশনের বিধান অনুযায়ী থানার অফিসার ইনচার্জ আমলযোগ্য অপরাধের অভিযোগ রেকর্ড করতে আইনত বাধ্য। আইনের সুস্পষ্ট বিধান থাকার পরও একজন বিচার প্রার্থী নাগরিককে থানা থেকে ফিরিয়ে দিয়ে ফৌজদারী কার্যবিধি ও পিআরবি’র বিধান লঙ্ঘন করায় চিলমারী থানার অফিসার ইনচার্জের বিরুদ্ধে কেন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা আগামী ১৯ অক্টোবরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট আদালতে লিখিতভাবে জানানোর নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
এসআইএইচ