পাহড়ে নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগে পর্যটকের ভীড়

সবুজ পাহাড় ঘেরা প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যর শহর বান্দরবান। পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভ্রমণপিপাসুরা সুযোগ পেলেই ছুটে আসেন। নীলাচল ও নীলগীরির মেঘ আর শৈলপ্রপাতের শীতল ঝর্ণা যেন পর্যটকদের হাতছানি দিয়ে ডাকে। ছুটিতে আসা পর্যটকরা শহরের কোলাহল থাকে স্বস্থির সন্ধানে মুগ্ধ হয়ে ঘুরে বেড়ান বান্দরবানের মেঘলা, নীলাচল, স্বর্ণ মন্দির, শৈলপ্রপাত ও নীলগীরি। আর বেলা বাড়তে বাড়তে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে বাড়তে থাকে ভীড়।
শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি এবং রবিবার ঈদে মিলাদুন্নবীর ছুটিতে পর্যটকদের ব্যাপক আনাগোনা লক্ষ্য করা গেছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা, খুলনা, চট্টগ্রাম থেকেও অনেক পর্যটক এসেছেন এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে। পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে দূর দূরান্ত থেকে আসা পর্যটকরা মুগ্ধ হয়ে ঘুড়ে বেড়াচ্ছেন এদিক ওদিক।
কেউ এসেছেন পরিবার নিয়ে আবার কেউ এসেছেন বন্ধু বান্ধব নিয়ে। মেঘের ভেলা ভেসে যাওয়ার দৃশ্য অনেকে বন্দী করছেন তার মোবাইল ফোনে। অনেক নীলাচল পাহাড় থেকে দেখছেন সবুজ পাহাড়। আবার কেউ কেউ শৈলপ্রপাতের ঠান্ডা পানিতে গোসল করছেন। আবার অনেকে পরিবার পরিজন নিয়ে মেঘলার ঝুলন্ত লেক পাড়ি দিচ্ছেন আবার কেউ চড়ছেন ক্যাবল কারে।
এছাড়াও বিকেল ৫টার দিকে দেখা যায় নিলাচলের গেট থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ গাড়ির লাইন পড়ে যায়। যার কারণে অনেকে পায়ে হেঁটে নীলাচল পর্যটন কেন্দ্রে প্রবেশ করছেন। বন্ধু, স্বজন ও পরিবারের সদস্যেও নিয়ে বাড়তি আনন্দ পেতে বান্দরবানের বিভিন্ন এলাকা ও আশপাশের জেলাগুলো থেকে এখানে এসেছেন প্রচুরসংখ্যক লোকজন।
ঢাকার শাহবাগ থেকে আসা সামিয়া জামান জানান, সবচেয়ে বেশি ভালো লাগল মেঘ। ঢাকায় থাকি। ওইখান থেকে মনে হয় আকাশটা অনেক দূরে। এখানে আসলে মনে হাতটা বাড়ালে মনে হয় আকাশটা ধরতে পারব। এখানের মেঘ আর আকাশ এটার একটা অনভূতি এখানে আছে যেটা আর কোথাও পাওয়া যাবে না।
কিশোরগঞ্জ থেকে বান্দরবানের শৈলপ্রপাতে বেড়াতে আসা পর্যটক ফারাহানা বলেন, নৈসর্গিক সৌন্দর্যের জায়গা বান্দরবান। আমার নিজের দেশে যে এত সুন্দর পাহাড়,পর্বত, বন, নদী, ঝর্ণা রয়েছে। ঝর্ণার শব্দ শুনলেই মন ভালো হয়ে যায় । মেঘ গুলো ভাসছে তুলোর মত। এগুলো যখন গায়ের দিকে আসছিল ঠান্ডা অভিভূত হচ্ছি।
প্রবারণা উৎসব উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক শৈটিংওয়াই মারমা জানান, ৮ থেকে ১০ অক্টোবর এ তিন দিন বান্দরবান শহরে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মারমা সম্প্রদায় পালন করবে প্রবারণা ওয়াগ্যোয়াই পোয়ে (প্রবারণা উৎসব)। উৎসবকে কেন্দ্র করে বিহারগুলোতে উড়ানো হয় রঙিন ফানুস, টানা হয় ড্রাগন আকৃতির বর্ণিল রথ। এসব দেখতে শত শত পর্যটক বান্দরবানে আসেন।
ট্যুরিস্ট পুলিশের বান্দরবান ইউনিটের ওসি জাহাঙ্গীর আলম জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তায় পুলিশের নজরদারি রয়েছে। প্রত্যেক পর্যটন কেন্দ্রে নিয়মিত টহল দল ছাড়াও সাদা পোশাকের ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা আছেন।
এএজেড
