৬ মাস পর সেন্টমার্টিন যাচ্ছে জাহাজ, খুশি পর্যটকরা
কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। দীর্ঘ ৬ মাস বন্ধ থাকার পর অবশেষে সেন্টমার্টিন যেতে পারছেন পর্যটকরা। তবে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘর্ষের কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) সকাল ৬টার দিকে কক্সবাজারের নুনিয়ারছড়া বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে কর্ণফুলী এক্সপ্রেস জাহাজটি ৭৫০ যাত্রী নিয়ে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। গত এপ্রিল থেকে সেন্টমার্টিনগামী জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল।
কর্ণফুলী এক্সপ্রেসের মালিক হোসাইন আহমেদ বাহাদুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এই মৌসুমে প্রথমবারের মতো কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ৭৫০ যাত্রী নিয়ে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে যাত্রীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে।
জাহাজ মালিকদের সংগঠন সি ক্রুজ অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের (স্কোয়াব) সভাপতি তোফায়েল আহমদ বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘর্ষের কারণে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। তবে বিকল্প উপায় হিসেবে কক্সবাজার এবং চট্টগ্রাম থেকে জাহাজ চলাচলের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আজ পরীক্ষামূলকভাবে এই মৌসুমের প্রথম জাহাজ কক্সবাজার থেকে ৭৫০ যাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে। আজ পর্যটকরা নিরাপদ যাতায়াত করতে সক্ষম হলে বাকি জাহাজগুলোও পর্যটক সেবায় চলাচল করবে।
পর্যটক দম্পতি শফিকুল ইসলাম ও লিমা ইসলাম বলেন, প্রথমবারের মতো সেন্টমার্টিন যাচ্ছি। অনেকদিন অপেক্ষায় ছিলাম আজকের দিনের জন্য। তবে একটু গরমের কারণে কষ্ট হলেও সেন্টমার্টিন দেখতে পেলে সব কষ্ট মুছে যাবে।
আরিফুর রহমান নামে আরেক পর্যটক বলেন, অনেকদিন অপেক্ষায় ছিলাম সেন্টমার্টিন যাব বলে। দীর্ঘদিন ধরে সেন্টমার্টিন যাওয়া হয় না। দীর্ঘদিন বন্ধের পর অবশেষে সেন্টমার্টিন যেতে পারছি বলে খুব উৎফুল্ল ও আনন্দ উপভোগ করছি।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, আপাতত টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। আজ কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ কর্ণফুলী পরীক্ষামূলক চলাচল শুরু করেছে। পর্যায়ক্রমে অবস্থা বুঝে আবেদন করা জাহাজগুলোকেও অনুমতি দেওয়া হবে।
এসজি