স্ত্রীর পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় স্বামীকে মারধর

লক্ষ্মীপুরে পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় স্বামীকে মরধর করে আহত করার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রী ও শ্বাশুড়ির বিরুদ্ধে । আজ বুধবার (৫ অক্টোবর) সকালে লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে সাংবাদিকের কাছে এ অভিযোগ করেন আহতের স্বজনরা।
এর আগে মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) বিকাল ৫টার দিকে সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের রারী বাড়িতে মারধরের ঘটনা ঘটে। এ সময় স্বামীর দুটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায় তারা।
অভিযুক্ত স্ত্রীর নাম সাবিনা আক্তার । তিনি অপর অভিযুক্ত স্থানীয় মহিলা মেম্বার সাজেদা বেগমের মেয়ে। আর আহত স্বামীর নাম মো. রুবেল (৩০)। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রী।
রুবেল ও তার স্বজনরা জানান, দীর্ঘদিন আগে চর রমনী মোহন ইউনিয়নের ডালী বাড়ির মোহন ডালীর ছেলে রুবেলের সঙ্গে ওই মহিলা মেম্বারের মেয়ে সাবিনা আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে রাবেয়া নামে ৮ বছরের কন্যা রয়েছে। বৌয়ের সুবিধার জন্য শ্বশুর বাড়িতেই ঘর তৈরি করে সংসার করতেন রুবেল।
দীর্ঘদিন থেকে স্ত্রী মোবাইলে আরেকজনের সাথে পরকীয়া করে আসছেন। এ নিয়ে সংসারে কলহ সৃষ্টি হয়। বিষয়টি শ্বশুর-শ্বাশুড়িকে জানালেও কোনো সুরাহা পাননি রুবেল। উল্টো রুবেলকে হুমকি দিয়ে আসছেন। ঘটনার দিন বিকালে শিশু কন্যা রাবেয়া তার বাবাকে দেখতে চায় এমন কথা বলে শ্বাশুড়ি ও তার স্ত্রী বাড়িতে ডেকে নেয় রুবেলকে। এ সময় রবেল ওই বাড়ির সামনে গেলে গালমন্দের এক পর্যায়ে শ্বাশুড়ি সাজেদা বেগম ও তার মেয়ে সাবিনা আক্তার তাকে মারধর করে। এক পর্যায়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড়িয়েও দেয় তারা। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন রুবেল। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তারা।
এ বিষয়ে অভিযুক্তদের বক্তব্য জানার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোস্তফা কামাল বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
