ঘুমধুম সীমান্তে আবারও গোলাগুলির আওয়াজ
বান্দারবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের ওপারে মিয়ানমারের ভূখণ্ডে আবারও গোলাগুলির আওয়াজ শুনেছে স্থানীয় ও জন প্রতিনিধিরা। সোমবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে আবারও ভারী অস্ত্রের গোলাগুলির আওয়াজ শোনা যায়। স্থানীয় ও জনপ্রতিনিধিরা জানান, উপজেলার তুমব্রু সীমান্তের ৩৪,৩৫,৩৯,৪০,ও ৪১ নং পিলার আমতলী ও তুমব্রু এলাকা থেকে মিয়ানমারের ভূখণ্ডে ভারী অস্ত্রের গোলাগুলি শোনা যায়। সেখানে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী পুলিশের (বিজিপি) তুমব্রু রাইট ক্যাম্প অবস্থিত। মূলত বিজিপির ওই ক্যাম্পের আশেপাশে গোলাগুলি চলছে।
এ ছাড়াও মুরিঙ্গাঝিরি বিজিপি সীমান্ত চৌকি থেকে থেমে থেমে গোলাগুলি ও মর্টারশেল বিস্ফোরণের আওয়াজ ভেসে আসছে এমনটি জানিয়েছেন বাংলাদেশ সীমান্তের তুমব্রু, বাইশপাড়ী ও আমতলী এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয় ইউপি সদস্য দিল মোহাম্মদ ভুট্টো বলেন, তুমব্রু সীমান্তের ওপার বিজিপি ক্যাম্প থেকে পর পর ৩টি মর্টারশেল বিস্ফোরণের আওয়াজ ভেসে এসেছে। যা নতুন করে সীমান্ত লাগোয়া স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, ইউনিয়ন থেকে একটু দূরে আছি। তবে রাতের মধ্যে চলে আসব। ওপার থেকে মর্টার শেল বিস্ফোরণের আওয়াজ আসছে বলে বেশ কয়েক জন আমাকে জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে স্হানীয়দের সতর্কতার সাথে চলাফেরাসহ সীমান্তের কাছে না যাওয়ার জন্য নিষেধ করা হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক বিজিবি কর্মকর্তা জানান, সব সীমান্তেই আমরা সতর্ক থাকি তবে মিয়ানমার সীমান্তে বেশি সতর্ক থাকি। কারণ আমরা একটা বিষয়ে খুব সোচ্চার। এ ঘটনার জের ধরে নতুন করে যেন কেউ বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে।
প্রসঙ্গত, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে সেদেশের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে সংঘর্ষ চলছে। সম্প্রতি সেই সংঘর্ষ আরও বেড়েছে। আরাকান আর্মির সঙ্গে সে দেশের সেনাবাহিনীর মূল সংঘর্ষ চলছে বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া এলাকায়। এর ফলে এই সংঘর্ষের প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশেও।
এএজেড