ফেনীতে পুলিশের মামলায় যুবদল-ছাত্রদলের ১৪ নেতা কারাগারে
ফেনীতে পুলিশের দায়ের করা মামলায় যুবদল-ছাত্রদলের ১৪ নেতা-কর্মীর জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ফেনী কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. গোলাম জিলানী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
যুবদল-ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জামিন নিয়ে সোমবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে। ফেনীর জেলা ও দায়রা জজ ইমরান সালেহ তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
যুবদল ও ছাত্রদলের ১৪ নেতা-কর্মী হলেন- ফেনী জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বেলাল হোসেন ভিপি বেলাল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক এস এম কায়সার এলিন, ফেনী সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক নিজাম উদ্দিন মাস্টার, ফেনী পৌর যুবদলের আহ্বায়ক জাহিদ হোসেন বাবলু, ফেনী জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকের হোসেন রিয়াদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি জাহিদুল ইসলাম শিমুল, দাগনভূঞা পৌর যুবদলের আহ্বায়ক ভিপি ইমাম, সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদুল ইসলাম রাহাত, দিদারুল আলম, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ফজলে রাব্বী, পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব ইব্রাহিম পাটোয়ারী ইবু, যুবদল নেতা ফজলুল হক মুন্না ও মামুন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিরসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে ফেনী জেলা বিএনপি আয়োজিত শহরের ইসলামপুর রোডে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের ২০০-২৫০ নেতা-কর্মী জড়ো হয়ে ছাত্রলীগের মিছিলের পেছনের অংশে হামলা করে। এতে তিন ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়। একপর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। পুলিশ সেটা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এসময় পুলিশ রাবার বুলেট ও সিসা বুলেটসহ মোট ২৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ১৫০ থেকে ২০০ জন আসামি করা হয়।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার ও সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল জানান, গত ১২ আগস্ট ফেনী জেলা বিএনপির সমাবেশে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনী যৌথ হামলা চালিয়ে দলের বহু নেতা-কর্মীকে আহত করে এবং এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে উল্টো বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা বানোয়াট মামলা দায়ের করে। আওয়ামী পুলিশ প্রশাসনের এমন ঘৃণ্য কর্মকাণ্ড ও আদালতের রায়ের তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং অবিলম্বে দলের সব রাজবন্দীর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।
এসজি