দুর্বৃত্তের আগুনে পুড়ে ছাই শিক্ষার্থীর চা দোকান
লক্ষ্মীপুরে মো. নাহিদ আলম নামে এক শিক্ষার্থীর চা দোকান পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। জমি সংক্রান্ত জেরে প্রতিবেশী নাছির, সেলিম এবং আজাদ তার দোকানে পুড়িয়ে দিয়েছে বলে দাবি নাহিদের। একই সঙ্গে এ ঘটনায় প্রায় দেড় লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানায় নাহিদ।
সোমবার (৩ অক্টোবর) ভোর রাতে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের মিয়ারবেড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নাহিদ জানায়, লেখাপড়ার পাশাপাশি বাড়ির সামনের এই দোকানের মাধ্যমে তাদের সংসার চলে। সে যখন স্কুলে থাকে তখন তার বৃদ্ধ বাবা দোকানের দায়িত্বে থাকেন।
নাহিদ লক্ষ্মীপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও পশ্চিম চরমনসা গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, কে বা কারা দোকানে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। নেভানোর আগেই মালামালসহ পুরো দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। স্থানীয়দের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তা না হলে আগুন ছড়িয়ে পড়ে পার্শ্ববর্তী দোকানগুলোও পুড়ে যেত।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে নাছির ও সেলিম জানায়, জমির বিরোধ নিয়ে আদালত ও থানায় মীমাংসা হবে। দোকান পুড়ে নাহিদের ক্ষতি কেন করব? আর পাশের দোকানটি তাদের। আগুন ছড়িয়ে তাদের দোকানেও লাগতে পারত। অন্যদের সঙ্গে নাহিদের দোকানের আগুন নেভাতে তারাও সহযোগিতা করেছে।
ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও মিয়া বেড়ী বাজার কমিটির সভাপতি মো. সাইফুল হাসান রনি জানান, রহস্যময় আগুনে নাহিদের চা দোকান পুড়ে যায়। আইনগত সহায়তা নিতে তাদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তফা কামাল বলেন, এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসজি