চেয়ারম্যানের নাম না বলায় মঞ্চে হট্টগোল, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
নোয়াখালীর চাটখিলের মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির বক্তৃতাকালে স্থানীয় ইউপি চেয়াম্যানের নাম না বলায় মঞ্চে হট্টগোল এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
রবিবার (২ অক্টোবর) বেলা পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের কামালপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ১০ বছর পর রবিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন শুরু হয় একই ইউনিয়নের কামালপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। সম্মেলনে বক্তব্য দেওয়ার সময় মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আতিক উল্যাহ বিএসসির ছেলে বর্তমান চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বাহালুলের নাম না বলায় উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবিরকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন জাহাঙ্গীর মারামারি-হাতাহাতির কোনো সংবাদ কোনো সাংবাদিক প্রকাশ করলে তাকে দেখে নেওয়ার ও মামলার হুমকি দেন। সাংবাদিকদের মারামারির ছবি ও ভিডিও ডিলেট করে দিতে বলেন তিনি। তবে খানিক বাদে পরিস্থিতি শান্ত হলে পুনরায় সম্মেলনের কার্যক্রম শুরু হয়।
এ বিষয়ে জানতে নোয়াখালী-১ আসনের (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিম, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির এবং মোহাম্মদুর ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বাহালুলের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কেউ রিসিভ করেননি।
চাটখিল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, আসলে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আতিক উল্যাহ বিএসসিকে অনেক সম্মান করেন। তারা আসলে বুঝতে ভুল করছে। তিনি বলেছেন, আতিক উল্যাহ বিএসসি যে দুর্গ গড়ে গেছেন সেই দুর্গে ভাটা পড়ছে। আমরা তার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সেই দুর্গটি পুনরুদ্ধার করছি। আসলে তার ছেলে বাহালুল চেয়ারম্যান বিষয়টি বুঝেনি। যে কারণে তিনি বলে উঠেন আরকি আমার বাবার বিরুদ্ধে কেন আপনি বিষেদাগার করছেন।
সাংবাদিকদের হুমকি দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি তা অস্বীকার করে বলেন, আমি বলেছি যা হওয়ার নিজেদের মধ্যে হয়ে গেছে। এটা যেন ফেসবুকে কেউ না দেয়। আমি বলেছি ছবিগুলো কেউ যদি অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে তুলে ধরেন তা ডিলেট করে দিবেন। দলের ভেতর কথা কাটাকাটি হতেই পারে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিকে মঞ্চে থেকে নামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়নি। মঞ্চের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার বিষয়ে তিনি বলেন, অতিরিক্ত গরমের কারণে মঞ্চের পেছন থেকে ব্যানার খুলে ফেলা হয়।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহীম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সহকারী জাহাঙ্গীর আলম, জেলা আওয়ামী লীগোর আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও চাটখিল উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রধান সমন্বয়ক নাছির উদ্দিন প্রমুখ।
এসজি