ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা মামলার আসামীর মৃত্যুদণ্ড
লক্ষ্মীপুরে ওমর ফারুক নামে এক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে মো. আমিন (৩৭) নামে এক আসামীর মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছে আদালত।
সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আজিজুল হক এ রায় দেন। রায়ের সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী আমিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আমিন সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের শ্যামগঞ্জ গ্রামের বশির উল্যার ছেলে।
২০১৭ সালের ৩১ মার্চ রাতে ইউপি সদস্য ওমর ফারুককে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম করে হত্যা করা হয়। তিনি জেলার সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) ছিলেন। ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্বে ছিলেন ফারুক।
মামলা ও আদালত সূত্র জানায়, ইউপি সদস্য ওমর ফারুক শ্যামগঞ্জের পাটওয়ারী হাট বাজার থেকে বাড়ি যাবার পথে বাজারের পূর্ব পাশে বুড়ি বাড়ির পুকুর পাড়ে আসলে রাত সোয়া ১০ টার দিকে পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা আমির হোসেন ধারালো চুরি দিয়ে ওমর ফারুককে আঘাত করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে নোয়াখালীর হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওইদিন রাত দেড়টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় ওমর ফারুকের স্ত্রী আমেনা খাতুন (৪৮) বাদি হয়ে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৭ থেকে ৮ জনকে আসামী করা হয়। ওই মামলায় পুলিশ মো. আমিনকে গ্রেফতার করে।
২০১৮ সালের ১১ মে আদালতে হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শামসুল আরেফিন। তিনি তদন্তে প্রতিবেদনে মামলায় তৃতীয় আসামী মো. আমিনকে একক অভিযুক্ত করে এবং বাকী আসামীদের ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত নয় মর্মে উল্লেখ করেন।
জেলা জজ আদালতের সরকারী কৌঁশুলী (পিপি) অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দূর্বৃত্তরা মেম্বার ওমর ফারুককে হত্যা করে। পুলিশ মো. আমিন নামে একজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়৷ আদালতের বিচারক পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন এবং সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে আসামী মো. আমিনের মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন।
এএজেড