পঞ্চগড়ে বাবা মাকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ উজ্জ্বল
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট এলাকার উজ্জ্বল কুমার রায়। বাবা হরি কিশোর ও মা মিনকা রাণীর সাথে বোদা উপজেলার বদেশ্বরী মন্দিরে দূর্গা পূজা উপলক্ষে মহালয়ার অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা ছিল তার। ঘটনাক্রমে পরে আর যেতে পারেননি তিনি। নৌকা ডুবির ঘটনায় বাবা মা আর ফুফুকে হারিয়ে এখন বাকরুদ্ধ। কেমন যেন পাগলের মত হয়ে গেছেন তিনি।
এ ঘটনায় পুরো বাড়ি জুড়ে চলছে শোকের মাতম। আত্মীয় স্বজন সহ প্রতিবেশিরা এসে উজ্জ্বলের খোঁজ খবর নিয়ে সাত্বনা দিচ্ছেন। উজ্জ্বলের দাবি খুব দ্রুতই যেন তার বাবা মা সহ ফুফুর লাশ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরিবারের সদস্যদের সৎকার কাজ দ্রুতই করতে চান তারা।
উজ্জ্বল বলেন, মহালয়া উপলক্ষে বাবা মা ও আমার ফুফু ফুফা বদেশ্বরী মন্দিরে পূজা আর্চনা করার উদ্দেশ্য বাড়ি থেকে বের হন। তাদের সাথে আমারও যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এমন সময় বাবা আমাকে যেতে নিষেধ করেন। পরে আমি যাইনি। কিন্তু তারা সবাই যান। এমন সময় নদীতে নৌকা ডুবলে তারা পানিতে ডুবে যান। আমার ফুফা সাতঁরে নদী থেকে পাড়ে উঠলেও মা বাবা ও ফুফু উঠতে পারেননি। আমি আমার বাবা মা সহ ফুফুর লাশ দ্রুত হস্তান্তর চাই। তাদের সৎকার টুকু করতে চাই আমি।
উজ্জ্বলের চাচা রহিত কুমার বলেন, নৌকাতে আমার বড় ভাই, ভাবী ও বড় বোন দুলাভাইয়ের সাথে নৌকাতে আমিও উঠেছিলাম। কিন্তু নৌকাতে বেশি যাত্রী থাকায় আমি নেমে যাই। নৌকা কিছুদূরে যেতেই আমার চোখ ডুবে যায়। পরে আমরা নদীতে নেমে কয়েকজন যাত্রীকে নদী থেকে তুললেও বাকী সবাই ডুবে গেছেন।
সুধীর কুমার রায় নামে এক প্রতিবেশি বলেন, ঘটনাটি পুরো অবাক করার মত। আসলে এত বড় ঘটনা আমাদের এলাকায় কখনো ঘটেনি। চারিদিকে শুধু লাশ আর লাশ। নিহত অনেকের পরিচয় মিলেছে। অনেকে এখনো লাশই পায়নি।
এএজেড