চুরির অপবাদে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে মামলা
গাজীপুরের শ্রীপুরে চুরির অপবাদ দিয়ে রানা মিয়া (৩০) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে শ্রীপুর থানায় নিহতের বাবা আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫-৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- স্থানীয় ভাঙারি ব্যবসায়ী কেওয়া পশ্চিম খন্ড গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে শিপন মিয়া (২৫), আকাশ মিয়া (২২), উজ্জ্বল মিয়া (২৫) এবং আবুল কাশেমের ছেলে ইমনসহ (২৬) অজ্ঞাত আরও ৫-৬ জন। ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক রয়েছেন।
নিহত যুবক উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে।
শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে রানা মিয়াকে চোরের অপবাদ দিয়ে মুলাইদ গ্রামের পিয়ার আলী কলেজের পেছনে পিটিয়ে হত্যা করে আসামিরা। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় রানাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের বাবা আমিরুল ইসলাম জানান, প্রধান আসামি শিপন ভাঙারি ব্যবসা করে। ১৫টি ভ্যানগাড়িতে ভাঙারি মালামাল সংগ্রহ করে শিপন। সম্প্রতি তার ৫টি ভ্যানগাড়ি চুরি হয়ে যায়। চুরির অপবাদে রানাকে তারা মারধর করে। তাকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করলে অভিযুক্তরা বেদম মারপিট করে। একপর্যায়ে রানার কাছ থেকে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেয় তারা। রানাকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেয়। পরে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রানাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন, বারবার আমি তাদের পায়ে ধরে ছেলেকে মাফ করে দেওয়ার কথা বললে তারা ছাড়েনি। মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমার ছেলেকে নির্যাতন করে বুকের পাজর, দুই হাত-পা ভেঙে পিটিয়ে মেরেই ফেলল। ছেলের শরীরের এক ইঞ্চি পরিমাণ জায়গা নেই যে ওই স্থানে আঘাত করেনি। আমার ছেলেকে তারা হত্যা করেছে। আমি হত্যাকারীদের বিচার চাই, সঠিক বিচারের আশায় হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্সে লাশ নিয়ে সরাসরি থানায় যায়।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৫-৬ জনকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
এসজি