কুকুড়ে কামড়ালেই বিপদ! হাসপাতালে মিলছে না ভ্যাকসিন
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে সরবরাহ নেই জলাতঙ্কের প্রতিষেধক ভ্যাকসিন। ফলে কুকুড়ে কামড়ালে সেবা পাচ্ছেন না রোগীরা। এতে করে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে বাহির থেকে কিনতে হচ্ছে ভ্যাকসিন। এ স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে পার্শ্ববর্তী ঘাটাইল, কালিহাতী ও গোপালপুর উপজেলার অসংখ্য মানুষ চিকিৎসা নিতে আসে। হাসপাতালে সাপে কাটা ভ্যাকসিন সরবরাহ থাকলেও কুকুড়ে কামড়ালে ভ্যাকসিন না থাকায় সেবা বঞ্চিত হচ্ছের রোগীরা।
সম্প্রতি মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) দিনে ও রাতে উপজেলা পৌর শহরের কাঁচা বাজার এলাকায় দুই দফায় নারী, যুবক ও বৃদ্ধাসহ কমপক্ষে ৮ জন ব্যক্তি পাগলা কুকুড়ের কামড়ের শিকার হয়। পরে ওই দিন রাত ৯টার দিকে আহতদের মধ্য বেশ কয়েকজন উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে গেলে শুধু প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়। পরে কুকুড়ে কামড়ানো ভ্যাকসিন সরবাহ নেই বলে আহতদের জানান হাসপাতাল কর্মরত চিকিৎসকরা।
কুকুড়ের কামড়ানোর শিকার ৮ ব্যক্তির মধ্য হাসপাতাল সূত্রে ৪ জনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন, উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কুকাদাইর গ্রামের সরবেশ আলীর স্ত্রী ছালেহা বেগম (৫০), বাগবাড়ী গ্রামের শফিকুর রহমানের ছেলে মো. জনি (৩০), রাউৎবাড়ী গ্রামের আলামীনের স্ত্রী সুমাইয়া (২৫) এবং পৌর এলাকার ছাব্বিশা গ্রামের মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। বাকিদের পরিচয় জানা যায়নি।
ভুক্তভোগীরা জানান, দুই দফায় বেশ কয়েকজনকে পাগলা কুকুরে কামড়ে আহত করে। পরে আহতদেরকে ঘটনাস্থলে থাকা লোকজনের সহযোগিতায় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আনা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর কর্মরত চিকিৎসকরা জানায় হাসপাতালে কুকুড়ে কামড়ানো ভ্যাকসিন সরবাহ নেই। বাহির থেকে কিনে আনতে হবে। পরে বাহিরে থেকে ভ্যাকসিন কিনতে হয়েছে। হাসপাতালে ভ্যাকসিন না পাওয়া দুঃখজনক প্রকাশ করেছে লোকজন।
এ বাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আব্দুস সোবহান জানান, কুকুড়ে কামড়ানো ভ্যাকসিন হাসপাতালে সরবরাহ না থাকায় রোগীরা বাহির থেকে কিনছেন। আর কুকুড়ে কামড়ালে সরকারি হাসপতালে যে ভ্যাকসিন দেওয়া হয় সেগুলো ৪জনের জন্য একটি প্যাকেজ। একজন রোগীকে একটি প্রয়োগ করলে বাকি ৩টি নষ্ট হয়ে যায়। হাসপাতালে ভ্যাকসিন সরবরাহের বিষয় প্রক্রিয়াধীন। তবে, সাপে কামড়ানো ভ্যাকসিন সরবরাহ রয়েছে।
এএজেড