কক্সবাজারে নারী পর্যটক ধর্ষণ মামলায় আরেকজন আটক
মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মেহেদি হাসান বাবু
কক্সবাজারে এক নারী পর্যটককে ধর্ষণের ঘটনায় মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মেহেদি হাসান বাবুকে গ্রেপ্তার করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কক্সবাজারের ঘোনা পাড়া রুহুল্লার ডেইল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাবু কক্সবাজার শহরের বাহারছড়া এলাকার আবুল কাসেমের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মহিউদ্দীন। তিনি বলেন, আলোচিত পর্যটক নারী ধর্ষণ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ছিল মেহেদী হাসান বাবু। ভুক্তভোগী তার বিরুদ্ধেও ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশের বিশেষ দল মামলা দায়েরের পর থেকে অভিযান চালিয়ে আসছিল। এক পর্যায়ে সোমবার রাতে ঘোনা পাড়া রুহুল্লার ডেইল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, মেহেদী হাসান বাবু কক্সবাজার শহরের একজন বড় অপরাধী এবং এ ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত আশিকের শীর্ষ সহযোগী। পর্যটন জোনে চাঁদাবাজি, ধর্ষণ, ছিনতাইসহ নানা অপরাধ করে বেড়ায় সে। এসব অপরাধের দায়ে তার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলাও রয়েছে। এমনকি নিজ এলাকার বাহাড়ছড়ার সাধারণ লোকজনও তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে শহরের সন্ত্রাসী আশিক ঢাকা থেকে স্বামী-সন্তান নিয়ে কক্সবাজার বেড়াতে আসা এক নারী পর্যটককে তুলে নিয়ে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। পরে কক্সবাজারের হোটেল জিয়া গেস্ট ইন থেকে র্যাব ধর্ষিতা নারী পর্যটককে উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা করেন। কক্সবাজার শহরের বাহারছড়া এলাকার আশিকুল ইসলাম আশিকসহ এজাহারে চারজনের নাম উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া তিনজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন- আশিকের দুই সহযোগী ইস্রাফিল খুদা জয়, মেহেদী হাসান বাবু এবং হোটেলের ব্যবস্থাপক রিয়াজ উদ্দিন ছোটন। আসামিদের মধ্যে জিয়া গেস্ট ইনের ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটনকে বৃহস্পতিবার রাতেই গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
ঘটনার মূলহোতা ও প্রধান আসামি মো. আশিকুল ইসলামকে ২৬ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
টিটি/