নরসিংদীতে ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ
নরসিংদীতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভুল অপারেশনে ঝর্ণা বেগম (৩৫) নামে এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে, গলার থাইরয়েড অপারেশনের সময় ঘাড়ের রগ কেটে ফেলেন চিকিৎসক। এতে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনাটি ঘটেছে নরসিংদী শহরের পলি ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে একটি বেসরকারী হাসপাতালে।
এ ঘটনায় রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে মরদেহ নিয়ে হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ করেন মৃতের স্বজনরা। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মৃত ঝর্ণার দেবর মামুন জানায়, শিবপুর উপজেলার নোয়াদিয়া গ্রামের ঝর্ণা বেগম দীর্ঘদিন ধরে গলায় থাইরয়েড সমস্যায় ভুগছিলেন। এ জন্য তাকে শনিবার বিকাল ৫টায় নরসিংদী পলি ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করা হয়। সেখানে নাক-কান গলা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. ইফতেফার ইসলাম দীপু তাকে অপারেশন করার কথা জানান। সেই অনুযায়ী সন্ধ্যা ৭টায় দিকে ঝর্ণাকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। অপারেশন শুরুর পর থেকে রাত ১০টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত রোগীকে অপারেশন থিয়েটারে রাখা হয়। এরই মধ্যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীর স্বজনদের জানায়, উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নিতে হবে। সেই অনুযায়ী রোগীকে প্রথমে গাউসিয়া ইউএস বাংলা হাসপাতালে পাঠায়। পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠায়। ঢামেকে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, অনেক আগেই রোগী মারা গেছেন। পরে ময়নাতদন্ত শেষে রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মরদেহ ওই ক্লিনিকের সামনে নিয়ে এসে বিক্ষোভ শুরু করেন স্বজনরা। ওই সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে কথা বলতে হাসপাতালে গিয়ে কর্তৃপক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি। পরে হাসপাতালের পরিচালক আলতাফ হোসেনকে ফোন করা হলে তিনিও ফোন রিসিভ করেননি। এ ছাড়া অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. ইফতেফার ইসলামকে ফোন করা হলে তার নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।
নরসিংদী শহর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) নেয়ামত উল্লাহ জানান, রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে হাসপাতালের সামনে লোকজন জড়ো হয়। পরে কিছুক্ষণ হাসপাতালের সামনে অবস্থানের পর মরদেহ নিয়ে চলে যায়।
এসআইএইচ