এসএসসি পিছিয়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় ছিল নওগাঁর পরীক্ষার্থীরা
করোনা ও বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। প্রতিবছর সাধারণত ফেব্রুয়ারি মাসে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু করোনার কারণে পিছিয়ে যায় পরীক্ষা। পরে গত ১৯ জুন পরীক্ষা শুরুর কথা থাকলেও সিলেটসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় আবারও পিছিয়ে যায়। এরপর ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে পরীক্ষা শুরুর সময় নির্ধারণ করা হয়। এতে ২ মাস এসএসসি পরীক্ষা পিছিয়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় ছিল নওগাঁর পরীক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার নওগাঁ শহরের বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাশিদুল হক।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের তথ্য মতে, পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাসের আলোকে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবারের পরীক্ষায় সময় কমিয়ে ২ ঘণ্টা করা হয়েছে। জেলার ৭২টি কেন্দ্রে এসএসসি ও সমমানের মোট পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৮৪৫ জন। এর মধ্যে এসএসসি পরীক্ষার্থী ২৩ হাজার ৮৯২ জন, দাখিল ৫ হাজার ৫৮৫ জন এবং এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) ২৩৬ জন।
নওগাঁ পিএম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী ইশরাত জাহান। তার সিট পড়েছে কেডি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে। এ কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তার সঙ্গে কথা হয়। ইশরাত জাহান জানায়, প্রথম দিন বাংলা পরীক্ষা। ২ মাস পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ায় কিছুটা দুশ্চিন্তায় ছিলাম। তবে পরীক্ষা দিতে এসে ভালো লাগছে। তবে সময় ১ ঘণ্টা কমিয়ে দেওয়ায় একটু খারাপ লাগছে। কারণ পরীক্ষার প্রস্তুতি তো ভালো আছে। আশা করছি পরীক্ষা ভালো হবে।
ছেলে-মেয়ে পরীক্ষার কেন্দ্রে। আর নওগাঁ সরকারি কেডি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে অপেক্ষা করছেন অভিভাবকরা। মামুনুজ্জামান নামে এক অভিভাবক বলেন, মেয়ের পরীক্ষা নিয়ে একটু উদ্বিগ্ন আছি। করোনার কারণে গত দুই বছর ভালো করে ক্লাস হয়নি। পড়াশোনা ঠিকমতো হয়নি। পরীক্ষা আবারও পিছিয়ে ২ মাস পর হচ্ছে। মেয়ে মোটামুটি প্রস্তুতি নিয়েছে। আল্লাহ ভরসা, পরীক্ষা যেন ভাল হয়।
নওগাঁ জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. লুৎফর রহমান বলেন, এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নিয়ে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলার ৭২টি কেন্দ্রে এসএসসি ও সমমানের মোট পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৮৪৫ জন। সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
নওগাঁ জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান কেডি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতি বেঞ্চে দুজন করে পরীক্ষার্থী বসানো হয়। এ ছাড়া সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা সম্পন্নের জন্য ম্যাজিস্ট্রেটসহ পুলিশ প্রশাসনের ব্যবস্থা করা হয়। সম্পূর্ণ নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এসজি