বান্ধবীর সহযোগিতায় ধর্ষণ: ৪ জনের ১০ বছর আটকাদেশ
একাদশ শ্রেণিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে প্রেমের প্রস্তাব দেয় এক সহপাঠী। রাজী না হওয়ায় বান্ধবীর সহযোগিতায় তাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও তার ভিডিও ধারণ করে। এরপর ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখানোর পাশাপাশি তার ছোট নাবালক ভাইকে হত্যার হুমকি দিয়ে একের পর ধর্ষণ করতে থাকে। এক পর্যায়ে অতিষ্ট হয়ে বিষপান করে ওই শিক্ষার্থী। চিকিৎসা শেষে বেঁচে গেলে সব খুলে বলে সে। এরপর শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় বান্ধবীসহ ওই তিন ধর্ষককে ১০ বছরের আটকাদেশ দিয়েছেন নাটোর নারী ও শিশু আদালতের বিচারক আব্দুর রহিম।
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ওই আদেশে বিচারক উল্লেখ করেন,যদি আসামিরা কম বয়সী হয় তবে তাদের শিশু উন্নয়নকেন্দ্রে পাঠানো হোক। তা নইলে তাদের সংশ্লিষ্ট কারাগারে পাঠানো হোক।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-বাগাতিপাড়া উপজেলার দয়ারামপুর স্যাপার কলেজের তৎকালীন একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী তুষার আলী, ইমন হোসেন ওরফে রাকিবুল, তুষার ইমরান ও মেঘলা খাতুন।
নাটোর কোর্ট ইন্সপেক্টর নজমূল হক এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ ব্যাপারে নাটোর জজকোর্টের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট আনিছুর রহমান জানান, নওগাঁ জেলার রাথীনগর এলাকার অবসরপ্রাপ্ত এক সেনা সদস্য দয়ারামপুর এলাকায় থাকতেন। ওই সেনার মেয়ে স্যাপার কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় সহপাঠী তুষার আলী তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। এতে রাজী না হলে বান্ধবী মেঘলার মাধ্যমে মাইক্রোতে বেড়ানোর কথায় তাকে রাজি করায়। ২০১৭ সালের ২ জুলাই তারা মাইক্রোর বদলে একটি সিএনজি ভাড়া করে অজ্ঞাত জায়গায় নিয়ে কৌশলে তাকে ট্যাবলেট খাইয়ে অজ্ঞান করে। এরপর তাকে ওই তিন বন্ধু পালাক্রমে ধর্ষণ করে আর তার ভিডিও ধারণ করে মেঘলা। এরপর ওই ভিডিওকে পূজি করার পাশাপাশি বাবা-মাকে বললে তার ছোট নাবালক ভাইকে হত্যা করার ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন জায়গায় তাকে তারা ধর্ষণ করতে থাকে। এরই এক পর্যায়ে অতীষ্ট হয়ে ২০ আগস্ট হারপিক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ওই ভুক্তভোগী। বাবা-মা তাকে বগুড়ায় চিকিৎসা করালে ভালো হওয়ার পর মাকে বিস্তারিত বলে। পরে মা বাদী হয়ে ওই চারজনের বিরুদ্ধে ২৪ আগস্ট বাগাতিপাড়া থানায় মামলা করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে বুধবার ওই আদেশ দিলেন আদালত।
এসআইএইচ