রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১০ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

সেই শিশুটি ফিরল মায়ের কোলে, মেলেনি পিতৃ পরিচয়!

সম্প্রতি নওগাঁ সদর হাসপাতালের নতুন ভবনের সিঁড়িতে পড়ে ছিল ৪-৫ দিন বয়সী ফুটফুটে এক (মেয়ে) নবজাতক শিশু। পরে হাসপাতালটির ওয়ার্ড বয় রাজু শিশুটিকে কোলে তুলে নিয়ে শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করান। শিশুটি উদ্ধারের তিনদিন পর গত ১৭ আগস্ট সন্ধান পাওয়া যায় শিশুটির মা সুমির। তবে শিশুটি মায়ের কোলে ফিরলেও পাওয়া যায়নি তার বাবার পরিচয়। বর্তমানে শিশু ও শিশুর মা সুমি রয়েছে একটি আশ্রয় কেন্দ্রে।

শিশুটির পিতৃত্বের পরিচয় জানতে কথা হয় শিশুর মা সুমির সঙ্গে। এসময় সুমি জানান, তার জন্ম, বেড়ে ওঠা এবং লেখাপড়া সবই নওগাঁতে। মায়ের সঙ্গে থাকতেন শহরের এক ভাড়া বাসায়। প্রায় ২ বছর আগে শহরের মিন্টু নামে এক ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক হয় সুমির। এরপর মিন্টু নিজেকে অবিবাহিত পরিচয় দিয়ে সুমির সঙ্গে একাধিক বার শারীরিক সম্পর্ক করেন। বিয়ে করবে বলে বেশ কয়েকবার প্রতিশ্রুতিও দেয় মিন্টু। কিন্তু এর মধ্যে সুমির পেটে সন্তান আসবার পর থেকেই ফাটল ধরে ভালোবাসায়। অনেকভাবে চাপ দিয়েও সম্পর্ক মেনে নেননি মিন্টু।

সুমি আরও জানান, মিন্টু যে বিবাহিত এটা তার জানা ছিল না। শহরের দয়ালের মোড়ে তার একটা মুদি ও ফ্লেক্সি লোডের দোকান রয়েছে। মূলত দোকানে যাওয়া আসার মধ্যে দিয়েই তাদের সম্পর্ক হয়। এর মধ্যে সুমিকে বেশ কয়েকবার মিন্টু তার বাসা এবং বোনের বাসায় নিয়েও যায়। এলাকার প্রায় মানুষ তাদের একসঙ্গে চলাফেরা করতে দেখেছে। কিন্তু সন্তান পেটে আসার পর থেকে মিন্টু তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।

অনেক চেষ্টা করেও সন্তান নষ্ট করতে পারেনি সুমি। তাই সমাজে মুখ দেখানোর লজ্জায়, বাধ্য হয়ে সন্তান প্রসবের পরে গত ১৪ আগস্ট রাত সাড়ে ৭টার দিকে হাসপাতালের সিঁড়িতে রেখে চলে যায় সুমি। তবে নিজের সন্তানকে ফেলে রেখে গিয়ে থাকতে পারেনি সে। তাই সব কিছু ভুলে সন্তানের খোঁজে হাসপাতালে আসে সুমি।

কথা হয় সুমির মা আনোয়ারার সঙ্গে। তিনি জানান, সুমির বাবা মারা গেছে কয়েক বছর আগে। অন্যের বাসা-বাড়িতে কাজ করে মা-মেয়ের সংসার চলত। তবে মেয়ের এই সম্পর্কের কথা জানতেন না তিনি। যখন সুমির পেটে সন্তান আসে তখন বিষয়টি তিনি বুঝতে পারেন। এরপর বেশ কয়েকবার মিন্টুর সঙ্গে যোগাযোগও করেন আনোয়ারা। কিন্তু মিন্টু এসব বিষয়ে তার সঙ্গে কথা বলেনি। উল্ট সব কিছু অস্বীকার করে সে। এরপর সুমির সন্তান প্রসবের পরে দুর্বিসহ জীবন কাটছে মা-মেয়ের। এদিকে ঘটনা জানাজানির হবার পর ভাড়া বাসা থেকে বের করে দিয়েছে তাদের।

এ বিষয়ে মিন্টুর সাথে মোবাইলে কথা হলে তিনি বলেন, সে আমার দোকানে জিনিসপত্র নিতে আসতো। আর এই এভাবেই তার সঙ্গে আমার পরিচয়। এর বাহিরে তার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। কিন্তু সুমি কেনো আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করছে এটা ঠিক আমার জানা নেই বলেও জানান মিন্টু।

এ ব্যাপারে অ্যাডভোকেট মুহশীন রেজার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, সুমি যাতে করে তার সন্তানের পিতৃ পরিচয় পায় এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া রয়েছে। এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে আইনের আশ্রয় নিতে পারেন সুমির পরিবার। মামলা হওয়ার পরে পরিচয় শনাক্তে ডিএনএ টেস্ট এর মধ্য দিয়ে তাদের পরিচয় পাওয়া সম্ভব।
এএজেড

Header Ad
Header Ad

আহতদের চিকিৎসা বন্ধে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ শেখ হাসিনার নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের দেখতে গিয়ে তাদের চিকিৎসা বন্ধ রাখতে ও ছাড়পত্র না দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমনই এক প্রমাণ প্রসিকিউশনের হাতে এসেছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) আদালতে পূর্বনির্ধারিত শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন অফিসে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান তিনি।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, "আমরা রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) পরিদর্শনে গিয়ে জানতে পারি, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার আগে একবার হাসপাতালে গিয়েছিলেন। তখন তিনি চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’—অর্থাৎ আহতদের চিকিৎসা না দিতে এবং কাউকে ছাড়পত্র না দিতে নির্দেশ দেন।"

তিনি আরও বলেন, "এই নির্দেশের কথা আহত রোগী, তাদের স্বজন এবং হাসপাতালের চিকিৎসকরাও আমাদের জানিয়েছেন। আমরা এর তথ্য-প্রমাণ পেয়েছি এবং আদালতে তা উপস্থাপন করেছি।"

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে চিফ প্রসিকিউটর জানান, "জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের মৃতদেহ সুরতহাল করতে দেওয়া হয়নি, ডেথ সার্টিফিকেটেও গুলিবিদ্ধ হওয়ার তথ্য লুকানো হয়েছে। অনেকের ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট বা জ্বরের কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করতে বাধ্য করা হয়েছে। এমনকি আন্দোলনে শহীদদের লাশ দাফন করতে গেলে পুলিশের হামলার মুখে পড়তে হয়েছে তাদের পরিবারকে।"

তিনি বলেন, "আদালত জানতে চেয়েছেন, শহীদদের সুরতহাল প্রতিবেদন বা পোস্টমর্টেম রিপোর্ট কেন নেই। আমরা আদালতকে জানিয়েছি, সে সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মাত্রা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, দ্রুত লাশ দাফনে বাধ্য করা হয়েছিল। ফলে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিবেদন তৈরি করা সম্ভব হয়নি।"

চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, "শেখ হাসিনার নির্মমতার এসব প্রমাণ যাচাই-বাছাই ও ফরেনসিক বিশ্লেষণের পর মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার প্রমাণ হিসেবে আদালতে উপস্থাপন করা হবে।"

এই মামলার তদন্ত ও বিচারকাজ চলমান রয়েছে এবং এর মাধ্যমে বিচার নিশ্চিত করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রসিকিউটর।

Header Ad
Header Ad

এস আলম পরিবারের ৮,১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের নির্দেশ

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ৮ হাজার ১৩৩ কোটি ৫৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা মূল্যের শেয়ার ফ্রিজ (অবরুদ্ধ) করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। দুদকের পক্ষে সংস্থাটির উপপরিচালক তাহাসিন মুনাবীল হক আদালতে শেয়ার অবরুদ্ধের আবেদন করেন, যা শুনানি শেষে মঞ্জুর করা হয়।

আবেদনে উল্লেখ করা হয়, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, তিনি ও তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিভিন্ন ব্যাংক থেকে বিধিবহির্ভূতভাবে ঋণ নিয়ে তা আত্মসাৎ করেছেন এবং দেশ-বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ গড়েছেন।

এছাড়া, বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা এসব অস্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। অনুসন্ধান শেষ হওয়ার আগে এসব সম্পদ স্থানান্তর হয়ে গেলে তা উদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়বে।

ফলে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, সম্পত্তি বাজেয়াপ্তকরণ এবং সরকারের অনুকূলে রাখার স্বার্থে শেয়ারগুলোর পাশাপাশি সেগুলো থেকে উদ্ভূত মুনাফা, আয় ইত্যাদি জরুরি ভিত্তিতে ফ্রিজ (অবরুদ্ধ) করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে বলে দুদকের আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

থাকবে না সরকারি ছুটি

২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা

পিলখানা হত্যাকাণ্ড। ছবি: সংগৃহীত

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানা হত্যাকাণ্ডে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। দিনটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের জন্য ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান।

সকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে আজই প্রজ্ঞাপন জারি হবে। এ বছর থেকে দিবসটি পালন করা হবে। তবে এ দিনে থাকবে না সরকারি ছুটি।

মন্ত্রিপরিষদ সচিবের এমন বক্তব্যের কিছু সময় পরই ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা করে পরিপত্র জারি করা হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আহতদের চিকিৎসা বন্ধে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ শেখ হাসিনার নির্দেশ
এস আলম পরিবারের ৮,১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের নির্দেশ
২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা
প্রথমবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি বাণিজ্য চালু
৪ ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসর, জানা গেল নাম
পুলিশ প্রজাতন্ত্রের স্বাধীন কর্মচারী, কোনো দলের নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ধর্ষণের প্রতিবাদে আসাদ গেটে ছাত্র-জনতার সড়ক অবরোধ
স্ত্রীর সামনে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
দুই ফুসফুসেই নিউমোনিয়া, পোপ ফ্রান্সিসের অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক’
সংস্কার কমিশনের সুপারিশ: জুনেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন
নওগাঁয় রাতে সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি
প্রযোজনায় নাম লেখালেন বুবলি  
চোখে লাল কাপড় বেধে ঢাকার উদ্দেশ্যে কুয়েটের ৮০ শিক্ষার্থী  
বিয়ে বাড়িতে গান বাজানোর জেরে বাসর ঘরে হামলা  
আজ দুবাইয়ে ভারত-পাকিস্তান মহারণ  
মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেপ্তার  
দুপুরের মধ্যে ১৪ জেলায় বজ্রবৃষ্টির আভাস  
সারা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে যা জানালো র‍্যাব  
এ বছরই মধ্যে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন : দুদু  
জিম্মিদের ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল