বগুড়ায় চাষ হচ্ছে বারোমাসি মুলা
বগুড়ার শিবগঞ্জে কৃষকদের মাঝে মুলা এখন আর শীতকালীন রবি মৌসুমের ফসল নয়। মুলা এখন তিন মৌসুমেই সফল ভাবে চাষ করছেন। এই উপজেলার কৃষকদের নিরলস প্রচেষ্টার ফলে এই উপজেলায় শীতকালীন রবি মৌসুমের অধিকাংশ সবজি সফল ভাবে চাষ হচ্ছে খরিপ-১ ও ২ মৌসুমে এসব সবজির মাঝে মুলা অন্যতম।
মুলার জীবনকাল স্বল্পমেয়াদী হওয়ায় বছরে একই জমিতে তিন থেকে চার বার পর্যন্ত মুলা চাষ হচ্ছে এখানে। তবে শীতকালীন রবি মৌসুমের চেয়ে খরিপ-১ ও ২ মৌসুমে মুলা চাষে তুলনামূলক ভাবে অনেক বেশি লাভবান হচ্ছে এখানকার কৃষকরা। শিবগঞ্জ উপজেলার পৌরসভা, দেউলী, সেয়দপুর, রায়নগর, মোকামতলা, শিবগঞ্জ, ময়দানহাটা, সহ বিভিন্ন ইউনিয়নে সারা বছর সফল ভাবে চাষ হচ্ছে মুলা।
শিবগঞ্জ সদর ইউনিয়নের গুজিয়া ব্লকের চকগোপাল গ্রামের কৃষক মোঃ খাজা মিয়া এ প্রতিবেদক-কে বলেন সে এবার ৫০ শতক জমিতে লা চাষ করে ১২০ মণ মুলা উৎপাদন হয়েছে, সে প্রতিমণে ৯০০শত টাকা দরে প্রায় ১০৮,০০০ হাজার টাকা বিক্রি করেন। এ ৫০ শতক জমিতে মুলা চাষে তার খরচ হয়েছে প্রায় ২০ হাজার টাকা।
দেউলী ইউনিয়নের রহবল ব্লকের তালিবপুর গ্রামের কৃষক মোঃ মিনারুল ইসলাম এ প্রতিবেদক-কে বলেন সে এবার ৫০ শতক জমিতে মুলা চাষ করেছি আর ১০-১৫ দিনের মধ্যেই মুলা তোলা যাবে ৫০ শতকে সে ১২০ থেকে-১৩০ মণ ফলনের আশা করছেন। অপরদিকে শিবগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী মহাস্থান হাট এখন বারমাসি সবজির হাটে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আল মুজাহিদ সরকার এ প্রতিবেদক-কে বলেন, শিবগঞ্জের মাটি মুলা চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় ও কৃষি অফিসের পরামর্শে মুলা চাষে আগ্রহ বারছে। পাশাপাশি মহাস্থান হাট বারমাসি সবজির হাট হওয়ায় বাজারজাত করতে পারছে। মুলাচাষ লাভজনক ফষল হওয়ায় কৃষকেরা মুলা চাষে আগ্রহ বাড়িয়েছে।
এএজেড