মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে সনাতন ধর্মাবলম্বী সপ্তম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ফুঁসলিয়ে অপহরণ করে ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসা শিক্ষক আবু সামার বিরুদ্ধে। অবিলম্বে ওই মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মানববন্ধন করেছে উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদসহ সচেতন নাগরিক সমাজ।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলা পৌর শহরের ভূঞাপুর থানা মোড় চত্বরে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সনাতন ধর্মের স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনার কয়েকদিন পেরিয়ে গেলেও প্রধান আসামি আবু সামাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। স্থানীয় প্রভাবশালী মহল এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে আপস-মীমাংসার জন্য উঠে পড়ে লাগে। কিন্তু আমরা হিন্দু সমাজ যদি এমন ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার না পাই তাহলে আরও কঠোর কর্মসূচি পালন করব। একই সঙ্গে কয়েকদিন পরেই সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হতে যাচ্ছে। তা পালন করা থেকেও বিরত থাকব।
মানববন্ধনে কয়েক দফা দাবি জানিয়ে তারা আরও বলেন, মীমাংসার জন্য যারা পাঁয়তারা করছে তাদের আসামি করতে হবে, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্ত প্রধান আসামি আবু সামাকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে, ভুক্তভোগী ওই পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে, পাশাপাশি দুর্গাপূজা উৎসবকে কেন্দ্র করে যেন কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে সে লক্ষ্যে প্রতিটি পূজামণ্ডপে অতিরিক্ত নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে।
এসময় উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি স্মরণ দত্ত, সাধারণ সম্পাদক রবীন্দ্রনাথ, উপজেলা সুশাসনের জন্য নাগরিকের সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ কুমার দত্ত, উপজেলা শ্রী কৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উৎসব উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব অভিজিৎ ঘোষসহ অন্যান্যরা মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, উপজেলার ধুবলিয়া এলাকায় খালেক নুরানী মাদ্রাসার শিক্ষক এবং একই গ্রামের মৃত আরজু মিয়ার ছেলে আবু সামার বিরুদ্ধে সনাতন ধর্মাবলম্বী এক স্কুলছাত্রীকে প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণের পর নির্যাতন ও ধর্ষণের অভিযোগ উঠে। এ নিয়ে গত ৮ সেপ্টেম্বর রাতে ভূঞাপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগীর বাবা।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৯ সেপ্টেম্বর সকালে আবু সামার বড় ভাই আব্দুর রাজ্জাক ওরফে মোতালেবকে আটক করে পুলিশ। পরে শনিবার ১০ সেপ্টেম্বর সকালে অভিযুক্তের পরিবার ওই স্কুলছাত্রীকে থানায় নিয়ে আসে। পরে তাকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল এবং পরে টাঙ্গাইল বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দির জন্য পাঠানো হয়। একই সঙ্গে নথিভুক্ত করে প্রধান আসামির বড় ভাই ও সহযোগী মোতালেবকে কোর্ট হাজতে পাঠায় পুলিশ।
এসজি