প্রশিক্ষণের নামে নারীদের সঙ্গে প্রতারণা, ৫০ লাখ টাকা নিয়ে উধাও
টাঙ্গাইল পৌর শহরের সাবালিয়া এলাকায় ময়মনসিংহ রোডে চারতলা বিশিষ্ট ভবনের চতুর্থ তলায় অবস্থিত গ্রীন বাংলা ট্রেনিং সেন্টার নামে একটি বেসরকারি সংস্থা স্থানীয় নারীদের প্রায় ৫০ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হয়েছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে বিষয়টি জানা-জানি হলে নারীরা দলবেঁধে ওই অফিসে ভিড় করেন এবং তাদের সাথে প্রতারণার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। পরে টাঙ্গাইল সদর মডেল থানা পুলিশ ওই অফিসের ৪-৫ কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়।
জানা গেছে, টাঙ্গাইল পৌরসভার ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করে জনৈক রাসেল মিয়া নামে এক ব্যক্তি একক মালিকানাধীন গ্রীন বাংলা ট্রেনিং সেন্টারটি চলতি বছরের ২৩ আগস্ট ময়মনসিংহ সড়কের চার তলায় অফিস ভাড়া নেয়। তারা কর্মী নিয়োগ ও নানা প্রলোভন দেখিয়ে স্থানীয় প্রায় দেড়শ নারীকে প্রশিক্ষণের নামে প্রথমে ৭০০ ও পরে ২৫০ টাকা হারে টাকা নিয়ে পালিয়েছে।
প্রশিক্ষণের জন্য ভর্তি হওয়া ভুক্তভোগী নারীরা জানান, গ্রীণ বাংলা ট্রেনিং সেন্টার নামে একটি সংস্থা দর্জি, ব্লক, বুটিক ও মাশরুম চাষে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা ছিল। তিন মাসের প্রশিক্ষণ কোর্সে ভর্তির আবেদন ফরম বাবদ প্রথমে তাদের কাছ থেকে জনপ্রতি ৭০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে।
পরে তারা ভর্তি ফি বাবদ আরও ২৫০ টাকা হারে তাদের কাছ থেকে নিয়েছে। তারা প্রায় দেড়শ নারী ওই প্রশিক্ষণের জন্য ভর্তি হন। এছাড়া জামানত ছাড়া ঋণ দেওয়ার কথা বলে তারা ৪-৫ হাজার করে টাকা নিয়েছেন। সপ্তাহে শুক্র ও রোববার দুই দিন প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা ছিল।
ভুক্তভোগীরা আরও জানান, ১ সেপ্টেম্বর থেকে সংস্থাটির কর্মকর্তারা দুই দিন প্রদশর্নীমূলক প্রশিক্ষণ দেওয়ান। ওই দুইদিন প্রশিক্ষণের পর থেকে তাদের আর কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। এমনকি তাদের একাধিক মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তারা কল রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর জানান, নিয়ম অনুযায়ী আবেদন করায় ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। নাম-ঠিকানা ও কাজের ধরণ যাচাই-বাছাই না করে ট্রেড লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়ে তিনি জানান, যদি প্রতারণার কোন অভিযোগ থাকে তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
টাঙ্গাইল সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবু ছালাম জানান, গ্রীণ বাংলা ট্রেনিং সেন্টারের মালিক বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। সংস্থাটিতে কর্মচারীদের থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এএজেড