নিম্নআয়ের মানুষের স্বস্তি ফেরাবে ওএমএস
খাদ্যশস্যের বাজার মূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রবণতা রোধ করে নিম্নআয়ের জনগোষ্ঠীকে সহায়তা দেওয়া এবং বাজার দর স্থিতি রাখার লক্ষ্যে দেশব্যাপী ওএমএস কার্যক্রম পরিচালনার অংশ হিসেবে জয়পুরহাটে সরকার নির্ধারিত মূল্যে চাল ও আটা বিক্রয়কেন্দ্র উদ্বোধন করেন জয়পুরহাট জেলা প্রশাসক মো. শরীফুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় জয়পুরহাট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে নিম্নআয়ের মানুষের জন্য খোলা বাজারে চাল বিক্রি বা ওএমএস কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। ওএমএস কার্যক্রমে টিসিবির কার্ডধারীরা ১৫ দিন পর পর ৫ কেজি করে ৩০ টাকা কেজি দরে মাসে দুবার মোট ১০ কেজি চাল ক্রয় করতে পারবেন।
জেলা প্রশাসক মো. শরীফুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ওএমএস কার্যক্রমে চাল বিক্রির জন্য ক্রেতাদের ২টি লাইন থাকবে। এর মধ্যে এক লাইনে সাধারণ ক্রেতারা এবং অন্য লাইনে টিসিবির কার্ডধারীরা দাঁড়াবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জয়পুরহাট সদর উপজেলার ১৬ হাজার ৫৫৪ জন, পাঁচবিবি উপজেলার ১৫ হাজার ২৫১ জন, কালাই উপজেলার ৯ হাজার ৭৮৩ জন, আক্কেলপুর উপজেলার ৯ হাজার ৯২৬ জন এবং ক্ষেতলাল উপজেলার ৭ হাজার ৯৬১জন টিসিবি কার্ডধারী ওএমএস এর ডিলার থেকে পাক্ষিক ৫ কেজি করে মাসে ২ বার মোট ১০ কেজি চাল কিনতে পারবেন।
এতে আরও বলা হয়, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় জয়পুরহাট জেলার মোট ৩৭ হাজার ৭৬ জন ভোক্তার প্রত্যেকের জন্য মাসিক ৩০ কেজি করে মোট ১১১২ দশমিক ২৮ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ভেরিফায়েড ডিজিটাল ডাটাবেজ অনুসারে সুবিধাভোগী প্রতি পরিবারকে ১৫ টাকা কেজি দরে মাসে ৩০ কেজি বিতরণ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলন শেষে জেলা প্রশাসক বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগ বাজারে চালের মূল্যের ভারসাম্য আনয়নে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে এবং নিম্নআয়ের মানুষের মাঝে স্বস্তি আসবে বলে তিনি প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জয়পুরহাট সদর উপজেলার চেয়ারম্যান এস এম সোলায়মান আলী, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরাফাত হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন প্রমুখ।
এসজি