'প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশে খাদ্য সংকট নেই'
রাজশাহীতে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ও ৩০ টাকা ওএমএস কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টাই রাজশাহীর পবা উপজেলার হড়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদে খাদ্য বান্ধব এবং বেলা সাড়ে ১১ টায় নওহাটা পৌরসভায় ওএমএস এই কর্মসূচির উদ্বোধন ঘোষণা করেন, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরুল্লাহ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, মাদার অব হিউম্যানিটি বা মানবতার জননী হিসেবে পরিচিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছোট্ট ছোট্ট উদ্যোগের মাধ্যমে সারা বিশ্বে নিজের অবস্থানকে তুলে ধরেছেন। সারা বিশ্ব যখন খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত তখন বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে কোন সংকট নেই। বিভাগীয় কমিশনার বলেন, কেউ কেউ বলে, দেশে খাদ্যের মজুদ নাই। এটা ঠিক না। স্মরণকালের সর্বোচ্চ মজুদ আছে। বিশ্ব সংকট কাজে লাগিয়ে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল সুবিধা লুটতে চাই।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে এই কার্যক্রমের সর্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে কাজ করে যাচ্ছেন। অচিরেই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পৌঁছে যাওয়ার যুদ্ধে সকলের অংশগ্রহণ কামনা করেন তিনি। এছাড়া এই কার্যক্রম শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্টকে নির্দেশনা দেন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. সালমা মমতাজ।
তিনি বলেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ২০১৬ সাল থেকে চালু রয়েছে। সারা বিশ্বে দূর্যোগময় পরিস্থিতিতে মানবিক প্রধানমন্ত্রী এই কর্মসূচির আওতায় দেশে ৫০ লক্ষ মানুষকে ১৫ টাকা কেজি দরে ভর্তুকির মাধ্যমে চাল দিচ্ছেন। তিনি দেশে সর্বোচ্চ খাদ্য মজুদ আছে দাবি করে বলেন, আপনাদের চিন্তার কোন কারণ নেই। বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে অনেক ভালো আছে। খাদ্য গুদামে চাল ও আটা মজুদ আছে ১৯ লক্ষ মেট্রিক টন। যা দিয়ে আমরা আরও কিছু ভালো থাকতে পারবো। মজুদ নিয়ে আমাদের কোন ঘাটতি নেই।
তিনি আরও বলেন, আমি একটি গবেষণায় দেখেছি সরকারের নিরাপত্তা বেষ্টনীতে কম দামে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমে প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ৩৩ জন নারী ভোক্তা। নারীরা এই কার্যক্রমের সর্বোৎকৃষ্ট ব্যবহার করে থাকেন। এখানে খাবারে সাশ্রয় করে তারা বাচ্চাদের শিক্ষায় কাজে লাগায়। এ সময় তিনি শিক্ষার হার ৭০% থেকে শতভাগে উত্তরণ করে আত্ম নির্ভরশীল জাতি গঠনে সজাগ থাকার আহ্বান জানান।
রাজশাহী জেলা প্রশাসন ও খাদ্য বিভাগের আয়োজনে এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল। পবা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা লসমী চাকমার সঞ্চালনায় উভয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক ফারুক হোসেন পাটুয়ারী ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক দিলদার মাহমুদ।
ওএমএস কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, নওহাটা পৌরসভার মেয়র মো. হাফিজুর রহমান হাফিজ। উপস্থিত ছিলেন, প্যানেল মেয়র - ১ আজিজুল হকসহ পৌরসভার অন্যান্য কাউন্সিলররা। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, হড়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ।
উল্লেখ্য, সারা দেশে ৫০ লক্ষ মানুষকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১৫ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি করা হবে। এই কর্মসূচির আওতায় রাজশাহী বিভাগে ৭ লক্ষ ৭৬ হাজার ভোক্তাকে চাল দেয়া হবে। জেলায় ৮১ হাজার ৪০০ জনকে দেয়া হবে। এছাড়া ৩০ টাকা কেজি দরে ওএমএস কার্যক্রমে প্রত্যেককে ৫ কেজি করে চাল দেয়া হবে।
এএজেড