খোলাবাজারে খাদ্যশস্য বিক্রয়, উপকারভোগী ১১ হাজার ৬০০
নাটোরে ২৯ জন ডিলারের মাধ্যমে শুরু হয়েছে ওএমএস ও টিসিবির ভোক্তাদের মাঝে খোলা বাজারে খাদ্যশস্য বিক্রয় কার্যক্রম। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে শহরের বনবেলঘড়িয়া বাইপাস মোড়ে ওই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব ড. সাবিনা ইয়াসমিন। এ সময় ড. সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, খাদ্যশস্যের বাজার মূল্যের উর্ধ্বগতির প্রবণতা রোধ করে নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠিকে সহায়তা দেয়া এবং বাজার দর স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে ওই কার্যক্রম নাটোরসহ সারাদেশে শুরু করা হয়েছে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে জেলা প্রশাসক শামীম আহম্মেদ এবং জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হারুন অর রশীদ বক্তব্য রাখেন। জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠিকে সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশিত এই কর্মসূচীর সুষ্ঠু বাস্তবায়নে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন নিয়মিত মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা ও সহায়তা প্রদান করবে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হারুন অর রশীদ জানান, জেলার ২৯ জন ডিলারের মধ্যে সদর উপজেলায় ৫ জন এবং আটটি পৌরসভা এলাকায় মোট ২৪ জন রয়েছেন। এরমধ্যে ক-শ্রেণীর পৌরসভায় রয়েছেন ৪ জন আর খ ও গ শ্রেণীর পৌরসভায় রয়েছেন ৩ জন করে ডিলার। শুক্র ও শনিবার বাদে সপ্তাহের পাঁচ দিন ওই ২৯ জন ডিলারের মাধ্যমে এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
প্রতি ডিলার প্রতিদিন ৪শ জনের কাছে ৫ কেজি করে চাল ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করবেন। এরমধ্যে টিসিবির কার্ডধারীরা অগ্রাধীকার ভিত্তিতে পাওয়ার পাশাপাশি ওএমএস'র আওতায় সকলেই ওই চাল কিনতে পারবেন। এতে প্রতিদিন জেলায় মোট ১১ হাজার ৬শ জন ওই চাল নিতে পারবেন। প্রতিজন ডিলার প্রতিদিন ২ টন হিসাবে জেলার ২৯ জন ডিলার প্রতিদিন ৫৮ টন চাল বিক্রি করবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, টিসিবির কার্ডধারী ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার প্রদানে জন্যে পৃথক একটি লাইন থাকছে। টিসিবির কার্ডধারী কোন ব্যক্তি ওই কার্ড দেখিয়ে মাসের প্রথম পক্ষে ১ বার এবং দ্বিতীয় পক্ষে একবার মিলে মাসে দুই বার অর্থাৎ ১০ কেজি চাল কিনতে পারবেন। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আপাতত আগামী নভেম্বর পর্যন্ত ওই কার্যক্রম চলবে। এরপর নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এএজেড