চলনবিলে মা-পোনা মাছ রক্ষায় অভিযান, জাল জব্দ!
চলনবিল ও বিল সংলগ্ন বিভিন্ন নদী ছাড়াও শাখা নদীতে চলছিল মা মাছ ও পোনা মাছ শিকার। কিছু অসাধু ব্যাবসায়ী ও মৎস্যজীবি বিভিন্ন রকম জাল দিয়ে ওইসব মাছ শিকার করে বাজার জাত করছিল যার কারণে মাছের বংশ বিস্তার ও ছোট মাছ বড় হওয়ার শঙ্কা দেখা দেয়। বিষয়টি জানতে পেরে প্রায়ই অভিযান চালালেও সফল হচ্ছিলেননা মৎস্য বিভাগ। অবশেষে দিনব্যাপী অভিযানে জব্দ করা হলো ১৪ লক্ষাধিক টাকার ১০৬ পিস জাল। এরপর আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হলো ওই জালগুলো। বুধবার রাত ৭ টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন গুরুদাসপুর উপজেলা,মৎস্য বিভাগ।
বুধবার সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগের উদ্যোগে ওই অভিযান চলে। উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মহিদুল ইসলাম জানান, আত্রাই নদী, আত্রাই নদীর বিভিন্ন শাখা নদী ও চলনবিল অঞ্চলে প্রতিদিন অবৈধ চায়না জাল, সোতি জাল, কারেন্ট জাল, বাদাই জাল দিয়ে মা মাছ ও পোনা মাছ শিকার করা হচ্ছিলো। প্রতি সপ্তাহে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকলেও কিছু অসাধু ব্যক্তি আইন লঙ্ঘন করে মা মাছ ও পোনা মাছ শিকার করছিলো।
এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার সকাল থেকে দিনব্যাপী অভিযান চালানো হয়। এ সময় উপজেলার কালাকান্দর ও শ্বশ্মান ঘাট এলাকা থেকে দুইটি সোতি জাল যার আনুমানিক বাজার মুল্য ৩ লাখ টাকা, আত্রাই নদীর শাখা হরদোমা খাল থেকে ১০০ পিছ চায়না জাল যার আনুমানিক বাজার মুল্য ৮ লাখ টাকা, চলনবিল বিলশা অঞ্চল থেকে তিনটি বাদাই জাল যার আনুমানিক বাজার মুল্য ৩ লাখ টাকা ও একই এলাকা থেকে আনুমানিক ১০ হাজার টাকা মূল্যের
সাড়ে পাচ হাজার মিটার কারেন্ট জালসহ প্রায় ১৪ লাখ ১০ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের ১০৬ পিছ অবৈধ জাল জব্দ করা হয়। অভিযান শেষে ওই জালগুলো পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো জানান,অভিযানে ওই জাল ছাড়াও বাঁশের তৈরি বেড়া উদ্ধার শেষে ধ্বংস করা হয়েছে। মৎস্যভান্ডার খ্যাত চলনবিল ও সংলগ্ন নদীগুলোর স্বাভাবিক পানি প্রবাহ ঠিক রাখার পাশাপাশি মা মাছ ও পোনা মাছ শিকার বন্ধে ওই অভিযান অব্যাহত থাকবে-এমন দাবী করেন তিনি।
এএজেড