শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

টাকা ছাড়া আবেদন ফরম পৌঁছায় না ইউএনও’র টেবিলে

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশদহা ইউনিয়নের কৃষক নিলু। ছেলের জন্ম তারিখ ১৯৯৭ সাল আর মেয়ের ২০০১ সাল। তবে জন্ম নিবন্ধনে ছেলে-মেয়ে উভয়ের জন্মের সাল লেখা হয়েছে ১৯৯৭। ছেলের জন্মের সাল ঠিক থাকলেও মেয়ের জন্মের সাল ঠিক ছিল না। এ কারণে মেয়ের জন্মের সাল সংশোধনের জন্য তিনি বাঁশদহা ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টার থেকে আবেদন করেন এবং আবেদনের ফরম জমা দিয়েছিলেন ইউএনও অফিসের নিচ তলায় জমা নেওয়ার দায়িত্বে থাকা পিয়নদের কাছে। তবে তার সেই আবেদন ফর্ম ১ মাসেও নিচ তলা থেকে দ্বিতীয় তলায় ইউএনও’র টেবিলে পৌঁছায়নি। ১ মাস পর ইউএনও অফিসে এসে খোঁজ নিয়েছিলেন নিলু। তবে তার সেই আবেদন ফর্ম আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। তখন তিনি আবারও আবেদন করে জমা দেন নিচ তলায় দায়িত্বে থাকা পিওনদের কাছে। আবারও ১৫ দিন পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তার সেই আবেদন ফরমও হারিয়ে গেছে। এরপর তিনি অন্য একজনের পরামর্শে বাধ্য হয়ে আবারও আবেদন করেন। তবে এবার তিনি পিয়নদের কাছে আবেদন ফরমটি জমা দেননি। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর সরাসরি জমা দেন ইউএনও মহাদয়ের কাছে। সঙ্গে সঙ্গে তার কাজটি করে দেন ইউএনও।

কৃষক নিলু বলেন, ‘জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের জন্য আবেদন ফরম নিচে পিয়নদের কাছে জমা দিলে সেটি আর ইউএনও স্যারের কাছে পৌঁছায়নি। সেখান থেকে উধাও হয়ে যায়। যারা পিয়নদের টাকা দিতে পারছে তাদের কাজ দিনে দিনে হয়ে যাচ্ছে। মেয়ের জন্ম নিবন্ধন ঠিক করতে আমার ৫ দিন যেতে হয়েছে উপজেলায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি গরিব, মূর্খ মানুষ। তেমন একটা কিছু বুঝি না। ইউনিয়ন পরিষদ হতে আমাকে উপজেলার নিচের তলায় জমা দিতে বলেছিল বলে জমা দিয়েছিলাম। ৫ দিন আমার কাজ কামায় হয়েছে। এ ছাড়া যাতায়াতেও আমার অনেক খরচ হয়েছে। আমার জীবনে এতো ভোগান্তিতে আর পড়িনি।’

সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের কয়েকজন কর্মচারীর কারণে কৃষক নিলুর মতো প্রতিদিন এমন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন শত শত মানুষ। জন্ম নিবন্ধন ঠিক করতে না পেরে দিনের পর দিন ইউএনও অফিসে আসছেন আর ফিরে যাচ্ছেন তারা। ফলে সরকারের মহতি উদ্যোগ প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের উদ্যোক্তা ও স্থানীয় কিছু দালালের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে একটি সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারী তাজদিকুর রহমান। আর তাজদিকুর রহমানকে সহায়তা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের পিয়ন আনিস, নরেশ, গৌরাঙ্গ। দিন শেষে যে টাকা ইনকাম হয় তা ভাগ বাটোয়ারা হয় ৫ ভাগে। তাজদিকুর রহমান, আনিস, নরেশ, গৌরাঙ্গ ছাড়াও ওই টাকার একটা অংশ চলে যায় সদর উপজেলা নিবাহী অফিসারের কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের পকেটে।

জানা যায়, সদরের কয়েকটি ইউনিয়নের উদ্যোক্তা ও দালালরা আবেদন ফরম সংগ্রহ করেন এবং তাদের কাছ থেকে ২০০, ৫০০ থেকে শুরু করে বিভিন্ন অংকের টাকা নেন। এরপর ওই উদ্যোক্তা ও দালালরা ওই ফরমগুলো জমা দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের ওই ৪ কর্মচারীর কাছে। দ্রুত কাজ করে দেবে এই শর্তে ওই ৪ কর্মচারী উদ্যোক্তা ও দালালদের কাছ থেকে ফরম প্রতি ৪০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০ টাকা করে নিয়ে থাকেন। যে আবেদন ফরমগুলোর টাকা পান তাজদিকুর রহমান, আনিস, নরেশ, গৌরাঙ্গ ঠিক সেই ফরমগুলো তারা ইউএনও মহাদয়ের কাছে জমা দেন। আর ওই আবেদন ফরমগুলোর কাজ সম্পন্ন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এদিকে যারা দালালের মাধ্যমে টাকা দিয়ে কাজ না করে সরাসরি এসে ওই কর্মচারীদের কাছে জমা দেন তাদের ফরম উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে পৌঁছায় না। নিচ তলা থেকেই হারিয়ে যায়। ফলে দিনের পর দিন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে আসছেন আর ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকেই।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা কার্যালয় সংশ্লিষ্ট একজন বলেন, ‘আমার নিজের এলাকার একজন জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের জন্য আবেদন ফরম আমার কাছে দিয়ে গেলে আমি সেটি একজন পিয়নের কাছে দিয়েছিলাম। তবে সেটি দেড় মাসেও ইউএনও স্যারের কাছে পৌঁছায়নি। পরে আমি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ইউএনও স্যারের কাছ থেকে আবেদন ফর্মটি ঠিক করে নিয়েছিলাম।’

আপনি তো অফিস সংশ্লিষ্ট তা আপনারদের মাস লাগল কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘হয়তো আমি টাকা দিতে পারিনি এ জন্য আমার দেওয়া ফরমটি তারা ইউএনও স্যারের কাছে দেয়নি।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সদরের এক ইউপি উদ্যোক্তা বলেন, ‘টাকা না দিলে ইউএনও অফিসের পিয়নরা কাজ করেন না। ফরম প্রতি তাদের ৪০ টাকা থেকে শুরু করে আরো বেশি টাকা দিতে হয়। সরাসরি পিয়নদের কাছে ফরম জমা দিয়ে আমার এলাকার অনেকেই ভোগান্তিতে আছেন। তারা দিনের পর দিন আমার এখানে এসে খোঁজ নেন। তবে আমারতো কিছুই করার থাকে না। আমি তাদের উপজেলায় খোঁজ নিতে বলি।’

এ প্রসঙ্গে জানতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তার ব্যবহৃত নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।

অভিযোগ অস্বীকার করেন অফিস সহকারী তাজদিকুর রহমানও। তিনি বলেন, ‘এখানে কোনও টাকা নেওয়া হয় না। ফরম জমা দিলে সিরিয়াল অনুযায়ী কাজ সম্পন্ন করা হয়।’

কিছু কিছু আবেদন ফরম মাসের পর মাস পড়ে থাকে কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সার্ভারের সমস্যা থাকে এ জন্য পড়ে থাকে।’ এরপর অফিসে আসতে বলে তিনি মোবাইলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা-তুজ-জোহরা বলেন, ‘এমন অভিযোগ আমার কাছেও এসেছে। এ জন্য আমি প্রতিদিনের আবেদন ফরম প্রতিদিন আমার টেবিলে দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছি। আমার নির্দেশনা অমান্য করে জন্ম নিবন্ধনের জন্য যদি কেউ টাকা গ্রহণ করে তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার দোয়ার সবসময় সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত। আবেদন ফরম নিয়ে সরাসরি আমার সঙ্গে দেখা করার অনুরোধ করছি।’

এসআইএইচ

Header Ad

অনুর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ

তামিমকে অধিনায়ক করে বাংলাদেশের দল ঘোষণা

ছবি: সংগৃহীত

আগামী ২৯ নভেম্বর শুরু হচ্ছে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের এবারের আসর। ওয়ানডে ফরম্যাটে হতে যাওয়া এই টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচেই মাঠে নামবেন বাংলাদেশের যুবারা। এশিয়া কাপের শিরোপা ধরে রাখার মিশনে আজ দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

এবারের বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে নেতৃত্ব দেবেন আজিজুল হাকিম তামিম। আগামী ২৯ নভেম্বর আফগানিস্তানের বিপক্ষে টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯। ‘এ’ গ্রুপে বাংলাদেশের সঙ্গী শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও আফগানিস্তান। অন্যদিকে ‘বি’ গ্রুপে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান, জাপান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ শেষে ১ ডিসেম্বর দ্বিতীয় ম্যাচে নেপাল ও ৩ ডিসেম্বর শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।

টুর্নামেন্টের সবগুলো ম্যাচই সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হবে। দুবাই ও শারজা দুই ভেন্যুতে আয়োজিত হবে টুর্নামেন্টের ১৫টি ম্যাচ।

আগামী ২৪ নভেম্বর আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ। ২৬ নভেম্বর শারজাতে ভারতের বিপক্ষে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে আজিজুল হাকিম তামিমরা।

বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ স্কোয়াড:
আজিজুল হাকিম তামিম (অধিনায়ক), জাওয়াদ আবরার (সহ অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিফাত বেগ, সামিউন বশির রাতুল, দেবাশীষ সরকার দেবা, রিজান হোসেন, আল ফাহাদ, ইকবাল হাসান ইমন, রাফিউজ্জামান রাফি, ফরিদ হাসান ফয়সাল, মারুফ মৃধা, শিহাব জেমস, মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান বরেণ্য, সাদ ইসলাম রাজিন।

স্ট্যান্ডবাই:
কালাম সিদ্দিকী, শাহরিয়ার আজমীর, ইয়াসির আরাফাত, সানজিদ মজুমদার।

Header Ad

নতুন নির্বাচন কমিশন শপথ নেবে রোববার

প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন। ছবি: সংগৃহীত

আউয়াল কমিশনের পদত্যাগের আড়াই মাস যেতেই অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনকে প্রধান করে বেছে নেওয়া হয়েছে নতুন নির্বাচন কমিশন। আগামী রোববার শপথ নিতে যাচ্ছে এ কমিশন।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) নতুন নির্বাচন কমিশন বেছে নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর এ তথ্য জানান সুপ্রিম কোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম।

সিদ্ধান্ত মোতাবেক রোববার (২৪ নভেম্বর) বেলা দেড়টায় নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চার কমিশনারকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত গণ অভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের এক মাস পর গত ৫ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করে হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। এর আড়াই মাস যেতেই এবার অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। আগামী জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের ভার ন্যস্ত থাকবে এ কমিশনের ওপর।

নতুন নির্বাচন কমিশনে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দীন ছাড়াও কমিশনার হিসেবে থাকছেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমানেল মাসুদ, সাবেক যুগ্ম সচিব বেগম তহমিদা আহমদ এবং অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে করা বিধান অনুযায়ী সার্চ কমিটি গঠন করার পর ওই কমিটির প্রস্তাবিত ১০ নামের তালিকা থেকে এই নির্বাচন কমিশন বেছে নিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।

দেশের চতুর্দশ সিইসি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া নাসির উদ্দীনক স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার।

নিয়োগ পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নাসির উদ্দীন বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যা যা করা দরকার, তা তা করব, ইনশাআল্লাহ। যে দায়িত্ব এসেছে, তা আমাদের সুষ্ঠুভাবে পালন করতে হবে সবার সহযোগিতা নিয়ে।

Header Ad

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার

ছবি: সংগৃহীত

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭১ জন নিহত হয়েছেন। এতে চলমান যুদ্ধে গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা ৪৪ হাজার ছাড়িয়ে গেল।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে আনাদোলু এজেন্সি জানায়, দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর হামলার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ৪৪ হাজার ৫৬ জন নিহত এবং ১ লাখ ৪ হাজার ২৬৮ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বোমা ও গুলিতে ৭১ জন নিহত এবং ১৭৬ জন আহত হয়েছেন।

তবে প্রকৃত নিহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে, কারণ অনেক মৃতদেহ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে এবং সেগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়।

এদিকে, ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থার কমিশনার জেনারেল ফিলিপ লাজারিনি এক্স পোস্টে বলেছেন, গাজা উপত্যকার ৮০ শতাংশই এখন উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। ওইসব এলাকার মানুষেরা নিরাপত্তা ও অস্তিত্বহীনতার মধ্যে বসবাস করছেন।

অনিরাপদ রুটের কারণে গাজাজুড়ে সামান্য ত্রাণ সরবরাহ করা ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়ছে জানিয়ে ফিলিপ লাজারিনি বলেন, গাজার উত্তরাঞ্চলে মানুষ কঠোর অবরোধের মধ্যে রয়েছে। যুদ্ধের দুষ্টচক্রে পড়ে তারা জীবন বাঁচাতে ছুটাছুটির মধ্যে রয়েছেন। ৪০ দিনেরও বেশি সময় ধরে ওই অঞ্চলটি মানবিক সহায়তা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। উপত্যকায় নাগরিক শৃঙ্খলা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।

অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসসাম ব্রিগেডের দীর্ঘদিনের নেতা মোহাম্মদ দেইফের বিরুদ্ধেও পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।

আইসিসির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আদালত দুই ব্যক্তি বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং ৮ অক্টোবর, ২০২৩ থেকে ২০ মে, ২০২৪ পর্যন্ত সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের জন্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করছে।

বিবৃতি অনুযায়ী, নেতানিয়াহু ও গ্যালান্ত ‘ইচ্ছাকৃতভাবে ও জ্ঞাতসারে গাজার বেসামরিক জনগণকে খাদ্য, পানি, ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহের পাশাপাশি জ্বালানি ও বিদ্যুৎসহ তাদের বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য বস্তু থেকে বঞ্চিত করেছেন বলে বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে’।

পৃথক এক বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত জানায়, দেইফ, পুরো নাম মোহাম্মদ দিয়াব ইব্রাহিম আল-মাসরিও গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আসামি। বিবৃতি মতে, আদালত ‘সর্বসম্মতভাবে’ তার বিরুদ্ধে ৭ অক্টোবর, ২০২৩ থেকে ইসরাইল ও ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে পরোয়ানা জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

দেইফের বিরুদ্ধে অভিযোগের মধ্যে আরও রয়েছে- ইসরাইলি ভূখণ্ডে রকেট নিক্ষেপ এবং ৭ অক্টোবর হামলা চালানো হামলায় সহস্রাধিক ইসরাইলি নিহত হয়। তবে৭ অক্টোবর হামলার কয়েক মাস পর চলতি বছরের জুলাইয়ে হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসসাম ব্রিগেডের দীর্ঘদিনের নেতা দেইফকে এক বিমান হামলায় হত্যার দাবি করেছে ইসরাইল। বিমান হামলাটি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের তাঁবুতে এবং একটা পানি শোধনাগারে আঘাত হানে। এতে কমপক্ষে ৯০ জন নিহত ও ৩০০ জন আহত হয়।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

তামিমকে অধিনায়ক করে বাংলাদেশের দল ঘোষণা
নতুন নির্বাচন কমিশন শপথ নেবে রোববার
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার
খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত