অর্থ আত্মসাৎ মামলায় কারাগারে চট্টগ্রামের সাবেক সিভিল সার্জন
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় চট্টগ্রামের সাবেক সিভিল সার্জন ডা. সরফরাজ খান চৌধুরীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ও স্পেশাল জজ বেগম জেবুননেছার আদালত শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের জন্য ২ কোটি টাকা বাজারমূল্যের একটি এমআরআই মেশিন ৬ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার ৪২৫ টাকায় কেনা হয়। একইভাবে ৪টি কালার ডপলার কেনা হয় ২ কোটি ৬০ লাখ টাকায়। যদিও এই মেশিনের দাম মাত্র ৯৮ লাখ টাকা। এভাবে বাজারমূল্যের চেয়ে দুই-তিনগুণ বেশি দাম দেখিয়ে মোট ৯ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার ৪২৫ সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর ৭ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন দুদক সমন্বিত কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল হক।
দুদকের আইনজীবী কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে যন্ত্রপাতি কেনার নামে ৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলায় সাবেক সিভিল সার্জন ডা. সরফরাজ খান চৌধুরীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন) ডা. মো. আব্দুর রব, জুনিয়র কনসালটেন্ট (অর্থোপেডিক সার্জারি) ডা. মো. মইন উদ্দিন মজুমদার, সিনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি) ডা. বিজন কুমার নাথ, যন্ত্রপাতি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোম্পানির স্বত্বাধিকারী মো. জাহের উদ্দিন সরকার, মেসার্স আহম্মদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মুন্সী ফারুক হোসেন এবং এএসএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আফতাব আহমেদ।
এসজি