শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

কিশোরদের অপরাধ প্রবণতা বেড়েছে, উদাসীন অভিভাবক!

গত ১০ আগস্ট বেলা ১১টা। নওগাঁর বদলগাছীর সদর এলাকায় মাইলস্টোন হাইস্কুল নামে বেসরকারি বিদ্যালয়ে ক্লাস চলছে। এমন সময় ১০ থেকে ১২ জন কিশোরের একটি দল স্কুলে প্রবেশ করে সরাসরি প্রধান শিক্ষকের কাছে যায় তারা। কিশোর দলটির দাবি, ওই স্কুলের এক শিক্ষার্থীকে তাদের হাতে তুলে দিতে হবে। অবস্থা বেগতিক দেখে প্রধান শিক্ষক পুলিশকে ফোন দেন। পরে অবশ্য দলটির মধ্যেকার একজনের প্রভাবশালী বাবা এসে তাদের নিয়ে যান।

মাইলস্টোন হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আবু জর গিফারী বলেন, বিষয়টি ভিন্নদিকে প্রবাহিত হচ্ছে দেখে থানায় সংবাদ দিই। এ ছাড়াও স্কুলের মূলগেট বন্ধ করা হয়। পরে এক ছেলের বাবা এসে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে এমন কথা বলে তার ছেলেসহ অন্যদের সেখান থেকে নিয়ে যান। এমন ঘটনা বদলগাছীতে হরহামেশাই হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে অভিভাবকদের উদাসীনতায় কিশোরদের মাঝে অপরাধ প্রবণতা বেড়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই দিন বদলগাছী পাইলট সরকারি মডেল হাইস্কুলের দশম শ্রেণির এক ছাত্রের নেতৃত্বে ১০-১২ জন কিশোর মাইলস্টোন হাইস্কুলে প্রবেশ করে। এ সময় তারা স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবু জর গিফারীকে চাপ দেয় তার স্কুলের এক ছাত্রকে বের করে দিতে। বিষয়টি ভিন্ন দিকে প্রবাহিত হচ্ছে দেখে তিনি থানায় সংবাদ দেন। এ সময় এক ছাত্র তার বাবাকে ফোন দিলে তিনি স্কুলে ছুটে যান। বিষয়টি মৌখিকভাবে সমাধান করে তার ছেলেসহ অন্যদের সেখান থেকে নিয়ে যান। এই ছাত্রের বাবার নাম সানাউল হোসেন হিরো। তিনি উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি।

এ ঘটনার পরের দিনই পাইলট সরকারি মডেল হাইস্কুলের সকল শিক্ষকরা মিলে আট কিশোরকে আটক করেন। পরে অভিভাবকদের ডাকা হলে তারা মুচলেকা দিয়ে সন্তানদের ছেড়ে নিয়ে যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেন বদলগাছী পাইলট সরকারি মডেল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সুরেশ সিংহ।

তিনি বলেন, কয়েকদিন আগেও স্কুলের সকল শিক্ষক মিলে কয়েকজনকে ধরে নিয়ে স্কুলে আসা হয়। পরে স্কুলে থানা পুলিশের উপস্থিতিতে অভিভাবকরা মুচলেকা দিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। এ স্কুলের কয়েকজন ছাত্ররাও জড়িত। আমরা এ বিষয় নিয়ে বিরক্ত।

প্রধানশিক্ষক সুরেশ সিংহ আরও বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ সময় স্কুল বন্ধ থাকায় এমনটা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। এছাড়া অভিভাবকদের কিছুটা উদাসীনতা রয়েছে। বর্তমানে শিক্ষকরাও ছাত্রদের শাষণ করতে ভয় পায়। এ বিষয়টি নিয়ে দ্রুত প্রশাসনের উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।

স্থানীয়ভাবে অভিযোগ রয়েছে উপজেলা সদরের কয়েকটি স্থানে ও দোকানের সামনে স্কুল ছাত্রীদের ইভটিজিং এর মতো ঘটনায় জড়িয়ে পড়ছে কিশোর বয়সী ছেলেরা। এছাড়া কিছু কলেজের ছাত্রও অন্য স্কুলের ছাত্রও আছে।

তারা স্কুল ফাঁকি দিয়ে উপজেলা সদরের হাটখোলা বাজারে টিনশেডের নিচে (পাইলট স্কুলের সামনে), ছোট যমুনা নদীর তীরে মন্দিরের নিচে ও নতুন হাটসহ কয়েকটা স্থানে আড্ডা দেয়। স্কুল টিফিনের সময় ছাত্রীদের বিভিন্ন ভাবে কটুকথা বলে এসব কিশোর গ্যাং। তারা তাদের ক্ষমতা জানান দিতে দলবদ্ধ ভাবে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ায়। বেশ কয়েক বার ছোট যমুনা নদীর তীরে মন্দিরের নিচে মারপিটের ঘটনাও ঘটেছে। এমনকি কয়েকজনের কাছ থেকে টাকা-পয়সা কেড়ে নেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। কিশোর গ্রুপদের বেপরোয়া আচরণে এলাকার মানুষদের আতঙ্ক বিরাজ করছে। কখন কাকে কি বলে অপমান করবে ভয়ে অনেকে তাদের ধারে পাশেও যায় না।

মাইলস্টোন হাইস্কুলের নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষক বলেন, গত কয়েকদিন আগে স্কুল ছুটি শেষে বিকেল ৪টার দিকে বাসার দিকে যাচ্ছি। মাষ্টার পাড়া মন্দিরের রাস্তার তিন মাথায় আমাকে দেখে কিশোর গ্যাংদের মাঝে কটুক্তি করে বলে আমাকে তারা পিটাবে। কথাটি শুনেও না শুনার ভান করে চলে যেতে হয়েছে আমাকে।

১০ আগস্টের ঘটনার বিষয়ে উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি সানাউল হোসেন হিরোর সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, 'ওই দিন আমার ছেলে স্কুলে যায়নি। এক ছেলে মাইলস্টোন স্কুলের ভেতরে আমার ছেলেকে নিয়ে গিয়ে ঝামেলায় ফেলার চেষ্টা করেছে। এই বিষয়ে যদি কেউ আমার ছেলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করে থাকে, তাহলে আমিও থানা এবং কোর্টে পৃথকভাবে মামলা দায়ের করবো'।

মাইলস্টোন হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আবু জর গিফারী বলেন, স্কুল চলাকালীন যদি শিক্ষার্থীর কোনো ধরণের অঘটন ঘটে তার দায়ভার আমার ওপর চাপবে। নিরাপত্তার কথা ভেবে থানা পুলিশকে অবগত করা হলে তারা স্কুলে আসেন। তবে তার আগে অভিভাবকরা এসে নিয়ে যায় এবং অনেকে তাদের ভুল বুঝতে পারে। তবে যে ভাবে কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা বাড়ছে তা এখনই নিয়ন্ত্রণ করা জরুরী হয়ে পড়েছে।

বদলগাছী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিয়ার রহমান বলেন, এ বিষয়ে সবার আগে অভিভাবকদের সজাগ হতে হবে। এ জন্য সচেতনতার বৃদ্ধিতে অভিভাবক সমাবেশ করা হচ্ছে। আমরা তৎপর আছি এবং পুলিশি টহল বাড়ানো হয়েছে।

বদলগাছী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলপনা ইয়াসমিন বলেন, উপজেলায় টিনএজ (উঠতি বয়সি) বেশ কিছু ছেলেদের অসঙ্গতি দেখা দিয়েছে। আগামী আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। তাদের সচেতনতার জন্য পুলিশ প্রশাসন এবং অভিভবাকদের সমন্বয়ে বেশ কিছু কমিটি গঠন করে দেওয়া হবে। তারা যেন কোন অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হতে না পারে জন্য স্কাউটিং, বির্তক প্রতিযোগীতা, পড়াশুনা এবং খেলাধুলায় ব্যস্ত রাখার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

কিশোর গ্যাং গড়ে ওঠার কারণ হিসেবে নওগাঁ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মো. শরিফুল ইসলাম খাঁন বলেন, শ্রেণি কক্ষে উপস্থিত না থাকা এবং সন্ধ্যার পর বাসা বা বাড়ির বাহিরে থাকাটাই প্রধান সমস্যা। শ্রেনীকক্ষে উপস্থিত বাড়াতে হবে এবং সন্ধ্যার পর বাসার বাহিরে থাকা যাবে না। শিক্ষক এবং অভিভাবকদের এ বিষয়টা দেখতে হবে। এটা করা গেলে কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। এছাড়া এই কিশোরদের অবৈধভাবে কেউ অর্থের জোগান এবং বড় ভাই হিসেবে তাদের কেউ উৎসাহ দিচ্ছে কিনা দেখতে হবে। মোট কথা অভিভাবকদের সক্রিয়তা বাড়াতে হবে।
এএজেড

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত