কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ শুরু, প্রথম দিনে ১৮৪ টন মাছ অবতরণ
কাপ্তাই হ্রদে তিন মাস ১৭ দিন বন্ধ থাকার পর মাছ আহরণের প্রথম দিনেই ১৮৪ টন মাছ অবতরণ হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের নিষেধাজ্ঞা শেষে কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ শুরু হওয়ায় প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে। ফের কর্মব্যস্ত হয়ে পড়েছেন জেলে, ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টরা। তারা জানায়, আহরণের শুরুর দিকে হ্রদে পানি স্বল্পতার কারণে জেলেদের জালে মাত্রাতিরিক্ত মাছ ধরা পড়ছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) বিএফডিসি রাঙামাটি কার্যালয়ের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত প্রথম দিনে রাঙামাটির প্রধান কেন্দ্র, মারিশ্যা, মহালছড়ি ও কাপ্তাই উপকেন্দ্রের পন্টুনে মাছ অবতরণ হয়। প্রথম দিনে চারটি অবতরণ কেন্দ্র মিলে ১৮৪ টন মাছ অবতরণ করা হয়েছে। যার বিপরীতে ৩৭ লাখ ৩০ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় হয়। এর মধ্যে রাঙামাটি প্রধান কেন্দ্রে ৯১ টন অবতরণের বিপরীতে সাড়ে ১৮ লাখ, কাপ্তাই উপকেন্দ্রে ৬৮ টনের বিপরীতে প্রায় ১৪ লাখ, মারিশ্যা উপকেন্দ্রে সাড়ে ৪ টনের বিপরীতে ৯ লাখ ৬৭ হাজার ও মহালছড়ি উপকেন্দ্রে সাড়ে ১৯ টনের বিপরীতে ৩ লাখ ৮৯ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় হয়। গত বছর অবতরণের প্রথম দিনে ১৫৪ টন মাছের বিপরীতে সাড়ে ২৭ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় হলেও সেই হিসেবে এবার প্রথম দিনেই ৩০ টনের অধিক মাছ বেশি অবতরণ হয়েছে।
সরেজমিনে বিএফডিসি অবতরণ ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকেই ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে বিভিন্ন এলাকা থেকে মাছ নিয়ে আসছেন জেলেরা। এ সময় ব্যবসায়ীরা জেলেদের থেকে বিএফডিসির পল্টুনে মাছগুলো সংগ্রহ করছেন। পরে পরিমাপ করে সরকারি রাজস্ব দিয়ে বাজারজাতকরণের উদ্দেশে পরিবহন করছেন। ট্রাক ও বিভিন্ন পণ্যবাহী পরিবহনে করে এসব চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।
মৎস্য ব্যবসায়ী উদয়ন বড়ুয়া জানান, জেলেদের সংগ্রহ করা মাছগুলো যাবতীয় কাজ শেষে ঢাকায় পাঠিয়েছি। মাছ বিক্রি হলে বুঝা যাবে ব্যবসায়িক পরিস্থিতি কেমন। তবে মাছের আকার অনেক ছোট বলছেন এই ব্যবসায়ী।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) রাঙ্গামাটি বিপণন কেন্দ্রের বাজারজাতকরণ কর্মকর্তা মো. শোয়েব সালেহীন জানান, প্রথম দিনে মোট ১৮৪ টন অবতরণকৃত মাছ হতে ৩৭ লাখ ৩০ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। প্রথম দিন মাছ আহরণ বেশি হওয়ায় অবতরণও বেড়েছে।
এসআইএইচ