খুনিদের দায় মুক্তি দিয়েছিল জিয়া: হানিফ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যায় সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সরাসরি জড়িত ছিলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার মামলাও করতে দেননি তিনি। এই হত্যাকাণ্ডের বিচার না করে, হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়েছিলেন, পুনর্বাসন করেছেন। নেপথ্যে চক্রান্তকারী হিসেবেও জিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।
বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) বিকালে কুষ্টিয়া পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে বঙ্গবন্ধুর ৪৭ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি এসব কথাগুলো বলেন।
এ সময় মাহাবুবউল আলম হানিফ বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর জিয়া ইনডেমনিটি (দায় মুক্তি) আইন করে খুনিদের রক্ষা করেছিলো। খুনিরা যাতে জিয়ার নাম না বলে এজন্যই তাদের ইনডেমনিটি দিয়েছিল জিয়া। জিয়া যদি হত্যাকাণ্ডে জড়িত না থাকে তাহলে তিনি খুনিদের বিচার কেন করেননি। তাদের বিচার করতে তার কি সমস্যা ছিলো। এসবই প্রমাণ করে জিয়া সরাসরি বঙ্গবন্ধুর হত্যায় জড়িত ছিল। জিয়া পাকিস্তানি এজেন্ট ছিলেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহবুব উল হানিফ বলেছেন, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো নির্বিঘ্নে সভা-সমাবেশ করতে পারবে। তাদের বাধা দেওয়া হবে না। কিন্তু সমাবেশের নামে কেউ সহিংসতা সৃষ্টি করলে প্রতিরোধ করা হবে।
এ সময় হানিফ আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বারবার তারা হত্যা চেষ্টা করেছেন। খুনি ও দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমান বিদেশে পলাতক রয়েছেন। সেখান থেকে সে বিভ্রান্তিকর কথাবার্তা বলে। মিথ্যাচার ছাড়া তাদের কিছু জানা নেই, মিথ্যা ছাড়া তাদের কিছু দেয়ার নেই। বিএনপি মিথ্যাচারের রাজনীতি করে।
কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদর উদ্দিন খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আজগর আলীর পরিচালনায় আলোচনা সভায় কুষ্টিয়া-৪-আসনের সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জসহ জেলা উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও আওয়ামীলীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এএজেড