প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণ মামলার মূল আসামী গ্রেপ্তার
লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা উপজেলায় প্রতিবন্ধী কিশোরী কে ধর্ষণ মামলার মূল আসামী কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব ১৩, সিপিএসসি, রংপুর ক্যাম্প। গতকাল সোমবার ভোর রাতে উপজেলার সিন্দুর্না ইউনিয়নের তমরচৌপতি এলাকায় অভিযান চালায় র্যাব।
মাহমুদ বশির আহমেদ ফ্লাইট লেঃসহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এক প্রেস বার্তায় জানান,গত ৬ আাগস্ট ২০২২ তারিখ দৈনিক পত্র পত্রিকায় ও অনলাইন মিডিয়ায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ১৪ বছর বয়সী এক মানসিক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে বাড়িতে ডেকে এনে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে সিন্দুর্না ইউনিয়নের তমরচৌপতি এলাকার বাসিন্দা মোঃ মোকাররম হোসেন শাহিন (৪০),পিতা- মৃতআফতাব হোসেন শেখ এর বিরুদ্ধে।
খবরটি গণমাধ্যমে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টিকরলে সিপিএসসি, র্যাব-১৩, রংপুর অভিযোগটির বিষয়ে ব্যাপক ছায়া তদন্ত শুরু করে। গত ১৫ আগস্ট ২০২২ তারিখে ভিকটিম এর মা বাদী হয়ে লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্দা থানায় ২০০০ সালের নারী ও শিশুনির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী/২০২০) এর ৯(১) ধারায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
উক্ত মামলার ভিত্তিতে সিপিএসসি, র্যাব-১৩,রংপুরের একটি আভিযানিক দল ব্যাপক অনুসন্ধান শেষে গত ১৬আগস্ট ভোর রাতে লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা থানার সিন্দুর্না ইউনিয়নের তমরচৌপতিএলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষণ মামলার আসামী মোঃ মোকাররম হোসেন শাহিনকে (৪০) গ্রেপ্তার করে। মোকাররম হোসেন শাহিন পিতা- মৃতআফত্তাব হোসেন শেখ, সাং-দক্ষিনসিন্দুর্না (৬ নংওয়ার্ড),থানা-হাতীবান্ধ, জেলা-লালমনিরহাট।
র্যার জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার কৃত আসামী ভিকটিমকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করার কথা স্বীকার করেছে। গেপ্তারের পরে আসাম কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসা বাদে ঐ দিনের সম্পূর্ণ ঘটনাবর্ণনা করে। তার বর্ণনা মতে জানা যায় যে, গত ২০ জুন ২০২২ তারিখ আসামী মোঃ মোকাররম হোসেন শাহিন প্রতিবন্ধী কিশোরীকে তার নিজবাড়িতে ডেকে নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। সেই সময়ে মোকাররম এর স্ত্রী বাড়িতে উপস্থিত ছিলনা।
ধর্ষণের পর বিষয়টি কাউকে না জানাতে কিশোরী কে হুমকি দেয় আসামি। এর ২/৩ মাসপর কিশোরীর হঠাৎ করে শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন পরিলক্ষিত হলে কিশোরীর মা ও এলাকার মহিলারা এ ব্যাপারে জানতে চাইলে, কিশোরীটি তাদেরকে ২/৩ মাস আগে শাহিনের স্ত্রী বাড়িতে না থাকায়,তাকে শাহিনের নিজ বাড়িতে নিয়ে জোড় পূর্বক ধর্ষণ করেছে বলে বিষয়টি জানায়। আসামীর বিরুদ্ধে আইন গত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এএজেড