নতুন ঘরে উঠে খুশিতে আত্মহারা নজরুল

নবনির্মিত পাকা ঘরে উঠতে পেরে খুশিতে আত্মহারা কুড়িগ্রামের কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের সীমান্তঘেষা খলিশাকোঠাল গ্রামের সেই চানাচুর বিক্রেতা নজরুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) বিকালে নজরুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে নতুন ঘরের উদ্বোধন করে ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে এক্সিম ব্যাংকের পক্ষ থেকে।
দেড় মাস পর ঘর নির্মাণের কাজ শেষে এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের পক্ষে ঘরের উদ্বোধন করেন এক্সিম ব্যাংকের রংপুর শাখার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহাদাত হোসেন। এ সময় এক্সিম ব্যাংকের দিনাজপুর শাখার এভিপি অ্যান্ড ম্যানেজার আহসান হাবীব, এক্সিম ব্যাংকের রংপুর শাখার সিনিয়র অফিসার মমিনুল ইসলাম, এক্সিউটিভ অফিসার ও ঢাকাপ্রকাশের কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি অনিল চন্দ্র রায় উপস্থিত ছিলেন।
নব্বই বছরেও ভার কাঁধে চানাচুর বিক্রি করেন নজরুল
এর আগে ১১ জুন দেশের জনপ্রিয় নিউজ পোর্টাল ঢাকাপ্রকাশে ”নব্বই বছরেও ভার কাঁধে চানাচুর বিক্রি করেন নজরুল ইসলাম” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। সেই সংবাদের সূত্র ধরে নজরুলের বাড়িতে লোক পাঠান এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার। নজরুল ইসলামকে পাকা ঘর নির্মাণ ও মাসিক ভিত্তিতে অর্থ সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন। পরে ২৬ জুন এক্সিম ব্যাংকের রংপুর শাখার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহাদাত হোসেন ও সিনিয়র অফিসার মমিনুল ইসলাম পাকা ঘর নির্মাণের উদ্বোধন করেন।
মঙ্গলবার বিকালে নতুন ঘরে উঠতে পেয়ে খুশিতে আত্মহারা নজরুল ইসলাম ও পরিবার। পাশাপাশি নগদ অর্থও পেয়েছেন। প্রতি মাসে নগদ অর্থও পাবেন এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যানের কাছ থেকে।
ঢাকাপ্রকাশে সংবাদ প্রকাশের পর ঘর পাচ্ছেন সেই নজরুল
নতুন পাকা ঘর পেয়ে নজরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মজিরন বেগম খুশিতে কেঁদে ফেলেন। অশ্রুসজল চোখে এ দম্পতি বলেন, এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার স্যার আমাদের মতো গরিব-দুঃখীকে পাকা ঘর, নগদ অর্থ দেওয়ায় আমরা স্যারের কাছে আজীবন চিরকৃজ্ঞ। মহান আল্লাহ যেন গুণী মানুষকে সব সময় ভালো রাখেন এবং আল্লাহ যেন মহান মানুষের হায়াত বাড়ায়। তারপরেও আমরা যতদিন বাঁচব ততদিন এ মহান মানুষের জন্য দোয়া করব।
নজরুল ইসলামের বাড়ী কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের সীমান্তঘেষা খলিশাকোঠাল গ্রামে। তিনি ওই এলাকার মৃত কাচু শেখের ছেলে। এক ছেলে ও এক মেয়ে। তারা ব্যস্ত নিজের সংসার নিয়ে। তার নেই কোনো আবাদি জমি। মাত্র ১০ শতক জমিতে জরাজীর্ণ একটি টিনশেড ঘরে স্ত্রীসহ অতিকষ্টে বসবাস করছিলেন। নব্বই বছর বয়সেও কাঁধে চানাচুরের ভার নিয়ে ফেরি করে বিক্রি করতেন।
সেই নজরুলের পাকা ঘর নির্মাণের কাজ শুরু
এ প্রসঙ্গে এক্সিম ব্যাংকের রংপুর শাখার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহাদাত হোসেন ও এক্সিম ব্যাংকের দিনাজপুর শাখার এভিপি অ্যান্ড ম্যানেজার আহসান হাবীব জানান, এক্সিম ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যানের নিজস্ব অর্থায়নে চানাচুর বিক্রেতা নজরুল ইসলামকে পাকা ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে নজরুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে নতুন পাকা ঘরের উদ্বোধন করে ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে।
এসএন
