অফিস সহকারী পদে নিয়োগে ঘুষ, টাকা নেওয়ার ভিডিও

ঢাকায় ভূমি মন্ত্রণালয়ে অফিস সহকারীর চাকরি দেওয়ার নাম করে ১৩ লাখ টাকা ঘুষ হিসেবে নিয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব-উপসচিবদের স্বাক্ষর জাল করে দেয়া হয়েছে নিয়োগপত্র (জয়েনিং লেটার)। সেই সাথে ঢাকার কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে ভর্তি করার জন্য বলা হয়েছে এবং তিন মাস পর পোস্টিং করার কথা। কিন্তু ৩ মাস অতিবাহিত হবার পর বুঝতে পারেন প্রতারণার শিকার হয়েছেন তারা। অফিস সহকারী পদে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে ঘুষ হিসেবে টাকা গুনে নেওয়ার একটি ভিডিও গতকাল মঙ্গলবার রাতে ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর তোলপাড় শুরু হয়েছে।
এ ঘটনাটি ঘটেছে রংপুর নগরীর দখিগঞ্জ এলাকায় আব্দুল হান্নান ও তার স্ত্রী স্বপ্না বেগমের ছেলে সোহাগ মিয়াকে ভূমি মন্ত্রণালয়ে কম্পিউটার অপারেটর কাম অফিস সহকারী হিসেবে চাকরির দেওয়ার কথা বলে ১৩ লাখ টাকা নেন একই এলাকার প্রতারক আনোয়ার হোসেন।
প্রতারনার স্বিকার সোহাগ মিয়া বলেন, টাকা নেওয়ার কিছু দিনের মধ্যে ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের পরিচালক স্বাক্ষরিত একটি নিয়োগপত্র এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব তাজুল ইসলাম মিয়ার স্বাক্ষর করা যোগদান পত্র দেন। পরে আমাকে ঢাকায় একটি কম্পিউটার ট্রেনিংসেন্টারে রেখে বলেন চাকুরীতে যোগদান হয়েছে।
এখানে ট্রেনিং করতে হবে তিন মাস ট্রেনিং শেষে পোস্টিং হবে। ট্রেনিং কালীন আমাকে বেতন হিসেবে দুই মাসের ২২ হাজার টাকা দেন আনোয়ার। এবং সেই সঙ্গে বেতন বিল, ভ্রমণভাতাসহ সরকারি দপ্তরের বেশকিছু ফরম, ভাউচারও দেন তিনি। এরপর তিন মাস পাড় হয়ে যায়, পরে পোস্টিং না হওয়ায় জানতে পারি আমি প্রতারণার শিকার হয়েছি।
প্রতারনার শিকার সোহাগের পিতা আব্দুল হান্নান বলেন, অনেক আশা নিয়ে সন্তানের চাকরির জন্য টাকাটা দিয়েছিল। কিন্তু আনোয়ার প্রতারণা করেছেন। তিন মাস পরে আমরা তা বুঝতে পারি। এখন টাকা ফেরৎ চাইলে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখায় আমাদের। এ নিয়ে আমরা থানায় অভিযোগ করেছি। প্রতারক আনোয়ারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার ব্যবহৃত নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।
প্রতারনার শিকার পরিবারের করা অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে রংপুর কোতোয়ালি থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মোহেরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত চলছে। তবে ভুক্তভোগী পরিবার মামলা করতে আগ্রহী নয় আবার তারা টাকা তুলতেও পারছে না। অভিযুক্তও কিছু টাকা তাদের ফেরৎ দিতে চাচ্ছে বলে শুনেছি। অর্থাৎ দুই ভাবে একটা মধ্যস্ততার মধ্যে আছে বিষয়টি।
এএজেড
