কক্সবাজার হোটেলে টর্চার সেলে জিম্মির ঘটনায় মামলা
কক্সবাজারে হোটেল-মোটেল জোনের 'টর্চার সেলে' জিম্মি অবস্থা থেকে পর্যটকসহ চার জনকে উদ্ধারের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ১১ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের হয়েছে। ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম জানান, মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) সকালে ভূক্তভোগী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বাবা মো. বেলাল আহমেদ বাদী হয়ে কক্সবাজার থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ১১ আসামির মধ্যে আট জন পুরুষ ও তিন জন নারী রয়েছে বলেও জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।
সোমবার ভোরে কক্সবাজার শহরের লাইট হাউজ এলাকা সংলগ্ন আবাসিক কটেজ জোন এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি টর্চার সেলের সন্ধান পায় পুলিশ। এ সময় কটেজ ব্যবসার আড়ালে 'টর্চার সেলে' জিম্মি রাখা অবস্থায় দুই পর্যটক ও দুই কিশোরকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে সাইনবোর্ড বিহীন 'শিউলি রিসোর্ট' নামের ওই আবাসিক কটেজে তল্লাশী চালিয়ে নির্যাতন চালানো ও আপত্তিকর কাজে ব্যবহৃত কিছু সংখ্যক উপকরণ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, কক্সবাজারে হোটেল-মোটেল জোনের লাইট হাউজ এলাকায় দেড়-শতাধিক আবাসিক কটেজ রয়েছে। এগুলোর মধ্যে অন্তত ২০ থেকে ৩০টি কটেজ রয়েছে সাইনবোর্ড বিহীন। যেগুলোতে পর্যটকসহ সাধারণ মানুষকে জিম্মি রেখে নির্যাতন চালিয়ে মোটা অংকের টাকা আদায়ের পাশাপাশি নারীদের আপত্তিকর কাজে ব্যবহার করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে সংঘবদ্ধ একটি চক্র এ ধরণের কাজে সক্রিয় রয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম বলেন, কক্সবাজারে হোটেল-মোটেল জোনে কটেজ ব্যবসার আড়ালে 'শিউলি রিসোর্ট' নামের টর্চার সেল থেকে পর্যটকসহ চার জনকে উদ্ধারের ঘটনায় ভুক্তভোগী এক কিশোরের বাবা বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট আইনে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এতে তিন নারীসহ অজ্ঞাতনামা ১১ জনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ মামলার আসামিদের তদন্তপূর্বক চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে অভিযান বলে জানান পর্যটন পুলিশের এ কর্মকর্তা।
এএজেড