রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫ | ৭ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

সাতছড়ি উদ্যানের আয়তন বাড়ছে দ্বিগুণ

হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে অবস্থিত সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান জীববৈচিত্র্যপূর্ণ সংরক্ষিত প্রাকৃতিক একটি বনাঞ্চল। সাতছড়ি দেশের সবচেয়ে ছোট জাতীয় উদ্যান। তবে ছোট হলেও এই বনকে বলা হয় বন্যপ্রাণীর ‘হটস্পট’। বিশেষ করে পাখির রাজ্য হিসেবে পরিচিত এই বনে আছে অনেক বিলুপ্ত বন্যপ্রাণী। এই বনে দেখা মিলেছে বন্যককুরের। এটি সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্য ও অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক লীলাভূমি।

প্রকৃতির আপন মায়ায় সুনিপুণভাবে বেড়ে ওঠা এই বন হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলা ও পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের ত্রিপুরা সীমান্তের গাঁ ঘেঁষে অবস্থিত। মিশ্র চিরসবুজ এই বন আঁকা-বাঁকা ৭টি পাহাড়ি ছড়া ও উঁচু-নিচু পাহাড়ি টিলায় পরিবেষ্টিত। বনাঞ্চলটিকে ঘিরে রয়েছে ৯টি চা বাগান। পশ্চিমে সাতছড়ি চা বাগান ও পূর্ব দিকে চাকলাপুঞ্জি চা বাগান।

বর্তমান সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের ২৪২ দশমিক ৯১ হেক্টর সংরক্ষিত বন। তবে এবার বনটির আয়তন বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে বনবিভাগ। নতুন করে ৬০০ হেক্টর সংযোজন করে মোট ৮৪২ দশমিক ৯১ হেক্টর জাতীয় উদ্যান করতে চায় বনবিভাগ। এরই মধ্যে এ নিয়ে একটি প্রস্তাব জমা দিয়েছে বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ সিলেট। প্রস্তাবটি বন অধিদপ্তর থেকে যাচাই বাচাই শেষে প্রয়োজনীয় তথ্য সমৃদ্ধ করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়, সাতছড়িতে প্রায় ২৪ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী রয়েছে। বড় আকারের স্তন্যপায়ীদের মধ্যে রয়েছে লেজবিহীন স্তন্যপায়ী উল্লুক। পৃথিবীর অনেক দেশ থেকে হারিয়ে যাওয়া এ মহাবিপন্ন উল্লুকের অন্যতম উপযুক্ত আশ্রয়স্থল সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান। অন্যান্য বড় আকারের স্তন্যপায়ীদের মধ্যে রয়েছে চার প্রজাতির বানর। এগুলো হলো- রেসাস বানর, ছোট লেজী বানর, আসামি বানর ও লজ্জাবতী বানর। এ ছাড়া দুই ধরনের হনুমান রয়েছে এখানে। এগুলো হলো- মুখপোড়া হনুমান ও চশমাপরা হনুমান। এ ছাড়া অন্যান্য স্তন্যপায়ীর মধ্যে রয়েছে বিপন্ন প্রজাতির মায়া হরিণ, কালো কাঠবিড়ালী, খরগোশ, বন্যশুকর, শিয়াল, মেছোবিড়াল, বনবিড়াল, গন্ধগোকুল, সজারু, হল্দে-গলা মার্টিন।

সাতছড়িতে বন কুকুর রয়েছে জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ও মাংসাশী প্রাণীর গবেষক মুনতাসির আকাশ বলেন, এটি খুবই সমৃদ্ধ বন। এখানে অনেক বিরল ও বিপন্ন প্রজাতির প্রাণী রয়েছে। এই বনের আয়তন বাড়ানোর যে উদ্যোগ বনবিভাগ নিয়েছে তা দ্রুত বাস্তবায়ন হলে বন্যপ্রাণীদের থাকার জায়গা বাড়বে সেই সঙ্গে এদের সংরক্ষণে সহযোগী হিসেবে কাজ করবে এ উদ্যোগ।

সাতছড়িতে প্রায় ১৪৯ প্রজাতির পাখি রয়েছে। বিরল প্রজাতির বেশ কিছু পাখির দেখা মিলে এ বনে। এদের মধ্যে রয়েছে বনমোরগ, মথুরা, কাউধনেশ, পাহাড়ি ময়না, লালমাথা টিয়া, হরিয়াল, রাজ ঘুঘু, সবুজ ঘুঘু, বেগুনি পাপিয়া, সিঁদুরে মৌটুসি, লালমাথা কুচকুচি, পাতা বুলবুলি। অন্য পাখির মধ্যে রয়েছে বাংলা বুলবুলি, বউকথাকও, সিপাহি বুলবুলি, নীলকণ্ঠ, কালাঝুটি বুলবুলি, কোকিল, কাঠঠোকরা, দাগি বসন্ত, এশীয় নীলপরি, ঘুঘু, শ্যামা, কাঠ শালিক, সবুজ টিয়া, কমন ময়না, প্যাঁচা, ফটিকজল, ঈগল, বটকল, কমলা দামা, খয়রা মাথা সুইচোরা, মৌটুসি, ফুলঝুরি, গোলাপি সাহেলী, ভিমরাজ, ডুফাজঙ্গল, মুনিয়া ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়া পৃথিবী থেকে হারিয়ে যাওয়া শকুনের নিরাপদ এলাকা-১ এর অন্তর্গত সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান শকুনের জন্য নিরাপদ এলাকা বলে ঘোষিত।

বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের তথ্য অনুযায়ী, যেকোনো বনে প্রতি এক কিলোমিটারের ভেতর সাধারণত ৫০ প্রজাতির বেশি পাখি বসবাস করে। কিন্তু সাতছড়ি একমাত্র বন যেখানে এক কিলোমিটারের ভেতর প্রায় ২০০ প্রজাতির পাখির দেখা মেলে। অনেক বিরল ও বিপন্ন প্রজাতির পাখিও পাওয়া যায় এখানে। তাই দেশের পাখিপ্রেমী ও ফটোগ্রাফারদের কাছেও এই বন রয়েছে পছন্দের তালিকায় একেবারে শীর্ষে।

বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের সহসভাপতি তারেক অনু জানান, দেশের মধ্যে পাখিদের জন্য এমন বৈচিত্র্যপূর্ণ উদ্ভিদ আর বৃক্ষে ভরা বন আর কোথাও নেই। সুন্দরবনের পর একসঙ্গে এত প্রজাতির পাখির দেখা আর কোথাও মেলে না।

বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা পাখিবিদ ড. ইনাম আল হক জানান, এক কিলোমিটার বনে ৫০ প্রজাতির জায়গায় সাতছড়িতে ২০০ প্রজাতির পাখি পাওয়া যায়। এটা মোটেও ভালো খবর নয়। এত বড় দেশ আমাদের। কিন্তু পাখিদের বসবাসের ভালো জায়গা না থাকায় সেগুলো এখানে থেকে যায়। বনটি বড় করা হলে অবশ্যই পাখিদের জন্য ভালো খবর।

তিনি বলেন, ব্যক্তিগতভাবে বনটি আমার কাছে খুবই প্রিয়। কারণ এখানে এত বৈচিত্র্যপূর্ণ গাছ, লতাপাতা আছে সেই সঙ্গে আছে নানা প্রজাতির উদ্ভিদ। যা এই বনকে সমৃদ্ধ করেছে। ছোট একটি বনে ২০০ প্রজাতির পাখি তখনই থাকবে যখন তাদের জন্য আলাদা আলাদা খাবার পাওয়া যাবে। এটা একটা ভালো দিক।

সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে প্রায় ২৮ প্রজাতির সরীসৃপ ও ১০ প্রজাতির উভচর প্রাণীর রয়েছে। এদের মধ্যে সবুজ বোড়া বা পিট ভাইপার, কিং কোবরা, অজগর, মক ভাইপার, খয়ে গোখরা, শঙ্খিনী, লাউডগা, বাদামি গেছো সাপ, তক্ষক, গিরগিটি, চিতি বন আচিল, গুইসাপ, হলুদ পাহাড়ি কচ্ছপসহ রয়েছে নানান সরীসৃপ।

উভয়চের মধ্যে চিত্রিত আঁচিল ব্যাঙ, ভেনপু ব্যাঙ, মুরগি ডাকা ব্যাঙসহ রয়েছে ঝিঁঝিঁ ব্যাঙ, সোনা ব্যাঙ, গেছো ব্যাঙ, দুই দাগী বাঁশি ব্যাঙসহ নানা প্রজাতির ব্যাঙ।

সরিসৃপ গবেষক শাহারিয়ার সিজার জানান, আয়তন বাড়ানো ভালো উদ্যোগ তবে এই বনের ভেতর দিয়ে যাওয়া পাহাড়ি ছড়াগুলো অনেকটাই ভরাট হয়ে গেছে। ছড়া খনন ও দখলমুক্ত করা সেই সঙ্গে বনকে আরও সমৃদ্ধ করতে পারলে সরিসৃপ ও উভয়চর প্রাণীর জন্য উপকারে আসবে।

এই বনের অন্যতম সুন্দর প্রজাপতি। প্রায় ১৯০ প্রজাতির রংবেরঙের প্রজাপতির আবাসস্থল এ সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান। বর্ণিল রঙিন ডানা, আকার-আকৃতি, বসার স্থান, খাদ্যাভাস ও উড়ার ধরনে একটি অন্যটির থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।

সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে বিরল প্রজাতির বেশ কিছু উদ্ভিদসহ প্রায় ২০০ প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে। উল্লেখযোগ্য উদ্ভিদ প্রজাতির মধ্যে সেগুন, চাপালিশ, চালমুগরা, তেলসুর, আউয়াল, চিকরাশি, গামার, গর্জন, রাতা, উদাল, আগর, ছাতিম, লোহাকাঠ, ডেউয়া, বেলপাই, মালাকানা, মেহগনি, জিগা, জারুল, করই, ডুমুর, বট, পাকুরসহ রয়েছে নানান প্রজাতির উদ্ভিদ।

সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের বনাঞ্চলটিকে বর্ধিতকরণের যৌক্তিকতা হিসেবে বিভাগীয় বনকর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী জানান, বিরল ও বিপন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য এই বনের আয়তন বাড়ানোর প্রস্তাব আমরা বন অধিদপ্তরে দিয়েছিলাম এই বছরের শুরুতে। এরপর অধিদপ্তর থেকে কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য চাওয়া হলে আমরা আবার তা পাঠাই। বর্তমানে এটি অধিদপ্তর থেকে মন্ত্রণালয়ে আছে।

বাংলাদেশের অত্যন্ত সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্য ও অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক লীলাভূমি হিসেবে খ্যাত সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান। দেশের অন্যান্য প্রাকৃতিক বনের তুলনায় এটি উদ্ভিদ ও প্রাণিবৈচিত্র্যে অত্যন্ত পরিপূর্ণ। ইতোমধ্যেই পৃথিবীর অনেক দেশ থেকে হারিয়ে যাওয়া মহাবিপন্ন বন্যপ্রাণীর একটু অংশ এখানে আছে। তাই এইসব বিরল ও বিপন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণীর সংরক্ষণের জন্য জাতীয় উদ্যানের আয়তন বৃদ্ধি করা প্রয়োজন বলে মনে করেন এ কর্মকর্তা।

তিনি আরও জানান, সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে বন্যপ্রাণীর নিরাপদ বিচরণের জন্য আবাসস্থল সংরক্ষণের গুরুত্ব অত্যাধিক।বর্তমান প্রেক্ষাপটে এ বনাঞ্চলের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্র যথেষ্ট নয়। বন্যপ্রাণীর সংরক্ষণ ও এদের অবাদ বিচরণের জন্য বন্যপ্রাণীর স্থায়ী অভয়াশ্রম সৃষ্টি করা জরুরি। বিভিন্ন ধরনের ফলজ ও বনজ বৃক্ষ অর্থাৎ বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল ও খাদ্যাপযোগী বনায়ন সৃজন করে বন্যপ্রাণীর খাদ্য ও আবাসস্থল নিশ্চিতকরণ প্রয়োজন। সেজন্য বনাঞ্চলের আয়তন বর্ধিতকরণ জরুীর।

রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, বর্তমানে যে আয়তন তার বাইরে জাতীয় উদ্যানের বর্তমান এলাকার বাইরের অঞ্চলেও বিভিন্ন ধরনের বিরল প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে। এসব উদ্ভিদের মধ্যে চালমুগরা, তেলসুর, আউয়াল, চিকরাশি, গামার, রাতা, উদাল, আগর, ছাতিম, লোহাকাঠ, ডেউয়া, বেলপাই, মালাকানা, জিগা, জারুল, করই, ডুমুর, বট, পাকুর ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। উদ্যানের আয়তন বৃদ্ধির মাধ্যমে এসব উদ্ভিদের রক্ষণাবেক্ষণ আরও সহজতর হবে। পাশাপাশি জাতীয় উদ্যানটিও হবে সমৃদ্ধ।

বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মনিরুল এইচ খানা জানান, সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের আয়তন বর্তমানে খুবই ছোট। এত কম জায়গাতে দীর্ঘদিন বন্যপ্রাণী টিকিয়ে রাখা কঠিন তাই আয়তন বাড়ানো জরুরি। এই বনের আশেপাশের অনেক এলাকা বন্যপ্রাণীদের জন্য সমৃদ্ধ। সেই সব জায়গাকে সংরক্ষিত বনের আয়তায় আনার যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তা বন্যপ্রাণীর জন্য উপকারে আসবে। কারণ জায়গা বাড়লে প্রাণীদের আবাস্থল বাড়বে এবং এই জায়গাটা সংরক্ষিত হবে। এদের তাদের প্রজনন ও চলাচলের জন্য নিরাপদ জায়গা বৃদ্ধি পাবে।

এসএন

Header Ad
Header Ad

একনেকে ২৪ হাজার কোটি টাকার ১৬ প্রকল্প অনুমোদন

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ২৪ হাজার ২৪৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৬টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে। রোববার (২০ এপ্রিল) পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ও একনেক চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সভা-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানান, চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বে টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পসহ মোট ১৬টি প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ২৪ হাজার ২৪৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৩ হাজার ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, প্রকল্প ঋণ ১৬ হাজার ৭১৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকা এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৪ হাজার ৪২৬ কোটি ১৭ লাখ টাকা।

এ সময় উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, পায়রা সমুদ্র বন্দর প্রকল্পে সঠিকভাবে অগ্রগতি না থাকায় এটি “সমুদ্র বন্দরও হবে না, খালের বন্দরও হবে না” - এমন মন্তব্য করেছেন তিনি।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, শিল্প ও গৃহায়ন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, বিদ্যুৎ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, নৌ ও শ্রম উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার। এছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সভায় অংশগ্রহণ করেন।

Header Ad
Header Ad

বিগত ৩ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার চায় এনসিপি

ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন অনুষ্ঠিত বিগত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবি করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরউদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, গত ১৫ বছরে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে। এজন্য নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত প্রার্থীদের, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের এবং যারা অনিয়মে যুক্ত ছিল, তাদের তদন্ত করে বিচার করতে হবে।

রোববার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ দাবি জানান। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেশকে ফ্যাসিস্ট কাঠামোয় নিয়ে গেছে এবং মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছে, যার দায় নির্বাচন কমিশনেরও রয়েছে।

বৈঠকে এনসিপির পক্ষ থেকে আরো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—মনোনয়নপত্র জমা দিতে সশরীরে আসার বিধান প্রবর্তন, প্রার্থীদের হলফনামা যাচাই-বাছাই করে সত্যতা নিরূপণ, নির্বাচনে সহিংসতা রোধে আচরণবিধি সংস্কার, ঋণখেলাপিদের প্রার্থিতা বাতিল, প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা এবং রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র মনিটরিং করা।

এছাড়া একই নামে একাধিক দলের নিবন্ধন, অফিসবিহীন দলকে বৈধতা দেওয়া এবং এসব বিষয়ে সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়। এনসিপি মনে করে, এসব বাস্তবায়ন না হলে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব নয়।

প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরউদ্দীন পাটওয়ারীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। প্রতিনিধি দলে ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক অনিক রায়, খালেদ সাইফুল্লাহ, মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন ও তাজনুভা জাবীন।

Header Ad
Header Ad

এপ্রিলে ১৯ দিনেই প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ২১ হাজার কোটি টাকা ছাড়াল

ছবি: সংগৃহীত

চলতি এপ্রিল মাসের প্রথম ১৯ দিনেই দেশে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে জানা গেছে, ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত প্রবাসীরা ১৭১ কোটি ৮৭ লাখ মার্কিন ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। ডলারপ্রতি ১২২ টাকা ধরে যার পরিমাণ প্রায় ২০ হাজার ৯৬৮ কোটি ১৪ লাখ টাকা।

রেমিট্যান্সের বড় একটি অংশ এসেছে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে—৯৮ কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার ডলার। এছাড়া রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৬৩ কোটি ৯৭ লাখ ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো দিয়ে ৯ কোটি ২ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

এর আগেও চলতি বছরের মার্চ মাসে দেশে এক মাসে ইতিহাসের সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসে—৩২৮ কোটি ৯৯ লাখ ৮০ হাজার ডলার। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতেও যথাক্রমে ২১৯ কোটি ও ২৫২ কোটি ৮০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকার ঘোষিত প্রণোদনা, ডলারের ভালো বিনিময় হার এবং রমজান ও ঈদ উপলক্ষ্যে প্রবাসীদের বাড়তি পাঠানোর প্রবণতা—এসব কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক আশা করছে, এপ্রিল শেষে এই প্রবাহ ৩৫০ কোটি ডলারের বেশি হতে পারে, যা নতুন একটি রেকর্ড হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

একনেকে ২৪ হাজার কোটি টাকার ১৬ প্রকল্প অনুমোদন
বিগত ৩ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার চায় এনসিপি
এপ্রিলে ১৯ দিনেই প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ২১ হাজার কোটি টাকা ছাড়াল
দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হওয়া নিয়ে বিএনপির অভিমত
ফাইয়াজের মামলায় আইন মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার নেই: আসিফ নজরুল
ভারতের উত্তরপ্রদেশে এক ছাত্রীকে ৭ দিন ধরে আটকে ২৩ জন মিলে ধর্ষণ!
বিরামপুরে পিকআপের ধাক্কায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যুবলীগ কর্মী মিঠু গ্রেফতার
ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে উত্তাল মুসলিম সমাজ, হায়দ্রাবাদে গণবিক্ষোভ
ফকিরাপুলে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ
আল-আকসা ভেঙে মন্দির স্থাপনের পরিকল্পনা ফাঁস, ফিলিস্তিনের সতর্কবার্তা
শেখ হাসিনা-কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যার প্রমাণ মিলেছে: চিফ প্রসিকিউটর
স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে ১৩৮ মিলিয়ন ডলার দেবে চীন : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
আইপিএলে অভিষেক ম্যাচেই তিন রেকর্ড গড়লেন ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশী
৩ মে ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক হেফাজতে ইসলামের
আজ স্বামীর প্রশংসা করার দিন
ইসরায়েলি অভিনেত্রী থাকায় নিষিদ্ধ হলো সিনেমা
রাজধানীর ডেমরা ও মিরপুরে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে বিএনপি
যশোরের শার্শায় অস্ত্রসহ দুই ছিনতাইকারী আটক