কয়লা সংকটে বন্ধ হতে পারে বড়পুকুরিয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন
মধ্য আগস্টের মধ্যে কয়লা না মিললে কয়লাভিত্তিক দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের মধ্যে বর্তমানে চালু একমাত্র ইউনিটটিও বন্ধ হতে পারে।
তবে মধ্য আগস্টের আগেই বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র ও বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের যৌথ প্রচেষ্টায় কয়লা উত্তোলনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী এসএম ওয়াজেদ আলী সরদার।
জানা যায়, বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে উৎপাদিত কয়লা (জ্বালানি) দিয়েই এই তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়। ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের চালু একমাত্র ইউনিট থেকে চাহিদা অনুযায়ী ১৮০-২৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। পুরোটাই জাতীয় গ্রিডে ব্যবহৃত হচ্ছে।
তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী এসএম ওয়াজেদ আলী সরদার বলেন, চলতি বছরের ১ মে কয়লাখনির ১৩১০নং ফেইজ (কূপ) পরিত্যক্ত হওয়ায় কয়লা উত্তোলন বন্ধ হয়। তখন থেকে মজুতকৃত কয়লা দিয়েই বিদ্যুৎ উৎপাদন চলছে। কয়লা স্বল্পতার কারণে বর্তমানে তিনটির মধ্যে একটি ইউনিট চলছে। গত ২৭ জুলাই দীর্ঘ ৮৭ দিন পর ১৩০৬নং নতুন ফেইজ থেকে পরীক্ষামূলক কয়লা উত্তোলন শুরু করে খনি কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ৩৪ জন চীনা শ্রমিকসহ ৫২ জন শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হলে তিনদিনের মাথায় আবারও বন্ধ হয়ে যায় কয়লা উত্তোলন। তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের মজুতকৃত কয়লা দিয়ে মধ্য আগস্ট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব। এর মধ্যে খনিতে কয়লা উত্তোলন শুরু না হলে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের চলমান একমাত্র ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন কয়লা সংকটে বন্ধ হওয়ার শঙ্কায় রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মধ্য আগস্টের আগেই বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র ও বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের যৌথ প্রচেষ্টায় কয়লা উত্তোলনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। কয়লা উত্তোলন শুরু হলেই মধ্য আগস্টের পর বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা কেটে যাবে। আমরা আশাবাদী শিগগিরই কয়লাখনি থেকে কয়লা উত্তোলন হবে।
বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সাইফুল ইসলাম সরকার বলেন, দীর্ঘ ৮৭ দিন পর ঠিকঠাকভাবে কয়লা উত্তোলন শুরু হলেও খনিশ্রমিকদের মধ্যে করোনা ছড়িয়ে পড়ায় তিনদিন পর তা আবারও বন্ধ হয়ে যায়। তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গে যৌথ প্রচেষ্টায় কয়লা উত্তোলন শুরুর প্রক্রিয়া চলছে। শিগগিরই বাইরের শ্রমিকদের করোনা পরীক্ষা করে কাজে যোগদানের মাধ্যমে কয়লা উত্তোলন শুরু হবে।
এসজি/