রয়েল টিউলিপে চরম অব্যবস্থাপনা, পর্যটক হয়রানি
কক্সবাজারের ইনানীতে অবস্থিত ‘পাঁচতারকা’ হোটেল রয়েল টিউলিপে কক্ষ খালি না থাকা সত্ত্বেও অগ্রিম বুকিং কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে হোটেল কর্তৃপক্ষ। এছাড়া অন্য পাঁচতারকা হোটেলের চেয়ে প্রায় ৩ গুণ বেশি টাকা কক্ষ ভাড়া নিচ্ছেন তারা৷ ফলে বিড়ম্বনায় পড়েছে দূরদূরান্ত থেকে ভ্রমণে আসা কয়েকশ পর্যটক৷ রয়েছে হোটেলের মান ও সার্ভিস নিয়েও নানা অভিযোগ।
ইতোমধ্যে অনেকে অনলাইনে কক্ষ বুকিং দিয়ে স্বশরীরে হোটেলে গিয়ে ফেরত এসেছেন এবং অতিরিক্ত টাকা গ্রহণ ও সার্ভিস ভালো পাননি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
রয়েল টিউলিপে সেবা না পেয়ে বিরক্ত ঢাকা থেকে আগত পর্যটক সিকান্দার আবু বলেন, ‘আগেভাগে বুকিং দেওয়ার পরও ঠিকমতো সেবা পাইনি। রুমে সেবা তো মেলেনি, সবকিছুতে চরম অব্যবস্থাপনা দেখেছি। মনে হয়েছে, হোটেল কর্তৃপক্ষ যতটা ধারণক্ষমতা তার চেয়ে বেশি বুকিং দিয়েছেন। ফলে গত দুদিন চরম ভোগান্তিতে কাটাতে হয়েছে। এসেছিলাম সপ্তাহের ট্যুরে কিন্তু হোটেলের নোংরা অবস্থা ও অব্যবস্থাপনার ফলে রুম ছেড়ে দিয়ে শহরের অন্য একটি হোটেলে অবস্থান করেছি।’
কুমিল্লা থেকে আগত পর্যটক সুফিয়ান আল আজিজ বলেন, ‘ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে হোটেল রয়েল টিউলিপে রুম বুকিং দিই অনলাইনে। এরপর কক্সবাজার গিয়ে হোটেলে গিয়ে দেখি রুম খালি নেই। রুমের জন্যে এডভান্স পেমেন্ট করেছিলাম। অথচ আমার রুমটি অন্য কাউকে হয়তো বেশি টাকা পেয়ে দিয়ে দিয়েছে। অবশেষে রুম না পেয়ে ইনানী থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে শহরে এসে অন্য হোটেলে রুম নিয়েছি।’
ময়মনসিংহ থেকে কক্সবাজার ভ্রমণে আসা পর্যটক দম্পতি ওই হোটেলে ৩ দিনের জন্য অবস্থান করছিলেন। ঢাকাপ্রকাশের সঙ্গে কথোপকথনে তারা জানান, হোটেলের সার্ভিস ভালো নয়। রুম ভাড়াসহ সবকিছুতে অন্য পাঁচতারকা হোটেলের চেয়ে প্রায় ৩ গুণ বেশি টাকা চার্জ করে। পাঁচতারকা হোটেল দাবি করলেও মূলত তাদের সে ধরনের কোন সেবা নেই।’
রয়েল টিউলিপ হোটেলের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবরারের সঙ্গে এসব অভিযোগের বিষয়ে কথা বলা হয়। ঢাকাপ্রকাশকে তিনি বলেন, ‘অভিযোগ যা পাওয়া গিয়েছেন তেমনটি হওয়ার কথা নয়। এখন পর্যটকের চাপ রয়েছে। সেজন্য হয়তো সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে এদিক-সেদিক হতে পারে। হয়তো শতভাগের জায়গায় ৯০ শতাংশ হয়েছে। কিন্তু পর্যটকরা ঠিকঠাক সেবা পাবেন না-এমনটি হতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের হোটেলে ধারণ ক্ষমতা ৩৫০ কক্ষের। এর বেশি বুকিং দেওয়ার সুযোগ নেই। দুই ভাবে হোটেলে বুকিং দেওয়া হয়। অনেকে অনলাইনে বুকিং করেন। অনেক পর্যটক ভোরেই চলে আসেন। এক্ষেত্রে রুম খালি হওয়ার জন্য মাঝেমাঝে তাদের একটু অপেক্ষা করতেই হয়।’
উল্লেখ্য, হোটেলটি রয়েল টিউলিপ নামে পরিচিত হলেও, এটির মালিকানা প্রতিষ্ঠান সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা।
টিএ/এএন