সিরাজগঞ্জের আঞ্চলিক সড়কে ভ্রমণ পিপাসুদের ভিড়
চারদিকে পানি মাঝখানে তৈরি করা হয়েছে আকাবেকা পাকা সড়ক। সড়কের দুই পাশ দিয়ে ছুটে চলা হরেক রকম নৌকা৷ মাথার উপর নীল আকাশ, পানিতে সূর্যের নিকরণ। বেলা যত গড়িয়ে পরে এখানকার মুগ্ধতা ততই বাড়তে থাকে। পরিবেশর এমন মুগ্ধতা অল্প দিনেই হয়ে উঠেছে ভ্রমণ পিপাসুদের দর্শনীয় স্থানে।
চলনবিল অধ্যুষিত সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়ার উধুনিয়ার আঞ্চলিক সড়ক এটি। বড় পাঙ্গাসী বাংলাপাড়া থেকে উধুনিয়া বাজার পর্যন্ত সাড়ে তিন কি.মি সড়কে প্রতিদিন দূর দৌরান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ ঘুরতে আসছে এ জায়গায়। এটাকে ভালবেসে নাম দিয়েছে অনেকে সিরাজগঞ্জের মিঠামাইন। মনোমুগ্ধকর এই স্থানটিকে পর্যটন এলাকা করে গড়ে তোলার দাবি ভ্রমনপিপাসু ও স্থানীয়দের।
ঘুরতে আসা আমিনুল ইসলাম সাথে কথা হয় তিনি বলেন, জায়গাটা অনেক সুন্দর। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, বিশুদ্ধ বাতাস সব কিছু মিলে এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশ। এখানে আসলেই ভালই লাগে। আশরাফুল ইসলাম বলেন, বেলা যত গড়িয়ে পরে এখানকার মুগ্ধতা ততই বাড়ে। মনে হয় এটা সিরাজগঞ্জের মিঠামাইন৷
আমেনা খাতুন বলেন, চলনবিল অধ্যুষিত অঞ্চলের এই পরিবেশ যে কোন মানুষকে কাছে টানবে। প্রতিদিন বেলা গড়ার সাথে সাথে মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে এই স্থানে। এই স্থানটি পর্যটন এলাকা করে গড়ে তোলা হোক।
সজিব আহমেদ বলেন, সিরাজগঞ্জ শহর থেকে এসেছি আমরা কয়েকজন বন্ধু এই স্থানে ঘুরতে। এই স্থানে এসে সত্যি অনেক ভাল লাগছে। এই রকম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমাদের দেশেই পাওয়া সম্ভব। অনেক টাকা খরচ করে দেশের বাইরে ঘুরতে যাই আমরা। কিন্তু আমার মনে হয় সেটা বৃথা। আমাদের দেশেই তো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রতীক।
কথা হয় একখানকার স্থানীয় আলামিন সরকারের সাথে তিনি বলেন, বড় পাঙ্গাসী বাংলাপাড়া থেকে উধুনিয়া বাজার পর্যন্ত সাড়ে তিন কি.মি সড়কে প্রতিদিন দূর দৌরান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ ঘুরতে আসছে এ জায়গায়। কিন্তু একটা সময় বেহাল দশা ছিল এই রাস্তার কেউ আসতো না ঘুরতে। এই রাস্তা হওয়াতে আমরা খুশি। এখন একটাই দাবি এটা যেন পর্যটন এলাকা করে গড়ে তোলা হয়।
উধুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ রেজাউল করিম বাচ্চু বলেন, প্রতিদিন দর্শনীয়দের সমাগম হচ্ছে। এই সড়কে বিদ্যুৎতের লাইটিং ব্যবস্থা ও দর্শনীয়দের জন্য আর সৌন্দর্য মনোরম পরিবেশ করার জন্য এমপি মহোদয়কে ইতিমধ্যে বলেছি।
উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: উজ্জ্বল হোসেন বলেন, রাস্তার পাশে বসার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে। উপজেলায় থেকে দর্শনীয়দের জন্য রাস্তা পাশে ছাতার ব্যবস্থা করা হবে। এবং এই পর্যটন কেন্দ্র নিয়ে আমাদের ভবিষ্যতে আর চিন্তা ভাবনা আছে। বর্তমানে নিরাপত্তার জন্য রয়েছে টহল পুলিশ।
এএজেড