ঢাকাপ্রকাশে সংবাদ প্রকাশের পর ঘর পাচ্ছেন সেই নজরুল

নব্বই বছর বয়সেও ভারে করে চানাচুর বিক্রেতা নজরুল ইসলামের খবর ঢাকাপ্রকাশে প্রকাশের পর পাকা ঘর পাচ্ছেন তিনি। একই সঙ্গে নগদ অর্থ সহায়তাও পেয়েছেন।
১১ জুন ঢাকাপ্রকাশে নজরুল ইসলামকে একটি সংবাদ প্রকাশ হয় ‘নব্বই বছরেও ভার কাঁধে চানাচুর বিক্রি করেন নজরুল ইসলাম’ শিরোনামে। সংবাদটি এক্সিম ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের নজরে আসে। এরপর তিনি এক্সিম ব্যাংকের রংপুর শাখার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহাদাত হোসেনকে চানাচুর বিক্রেতা নজরুল ইসলামের খোঁজ খবর নিতে বলেন।
নব্বই বছরেও ভার কাঁধে চানাচুর বিক্রি করেন নজরুল
এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যানের নিদের্শনায় গত মঙ্গলবার (১৪ জুন) বিকালে এক্সিম ব্যাংকের রংপুর শাখার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহাদাত হোসেন ও সিনিয়র অফিসার মমিনুল ইসলামসহ ঢাকাপ্রকাশের কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিকে নিয়ে চানাচুর বিক্রেতার কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের সীমান্তঘেষা খলিশাকোঠালের বাড়িতে যান।
বাস্তবে চানাচুর বিক্রেতা নজরুল ইসলামের সংসারের করুণ কাহিনীর সত্যতা পান এবং ৯০ বছর বয়সেও নজরুল ইসলাম জীবন যুদ্ধের এক লড়াকু সৈনিক বলে তার কর্মের প্রসংশা করেন এ ব্যাংক কর্মকর্তা। পরে চানাচুর বিক্রেতা নজরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মজিরন বেগমের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় নজরুল ইসলামকে নগদ অর্থ দেন এবং নজরুল ইসলামকে একটি পাকা ঘর দেওয়ার আশ্বাস দেন।
চানাচুর বিক্রেতা নজরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মজিরন বেগম নগদ অর্থ ও নতুন ঘর পাওয়ার আনন্দে দু-চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি। তারা কান্নায় জড়িত কণ্ঠে জানান, কেউ তাদের পাকা ঘর দেবে এটা কখনো ভানেননি।
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার স্যার আমাদের মতো গরিব অসহায় মানুষকে নগদ অর্থ ও পাকা ঘর দেবেন এটা খুবই মহত কাজ। মহান আল্লাহ যেন এ গুণী মানুষকে সব সময় ভালো রাখেন। আমরা যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন এ গুণী মানুষের জন্য দোয়া করব। পাশাপাশি তার ভালোর জন্য নফল নামাজ পড়েই যাব।’
এ প্রসঙ্গে এক্সিম ব্যাংকের রংপুর শাখার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহাদাত হোসেন বুধবার রাতে বলেন, আমরা নজরুল ইসলামের আর্থিক দুরবস্থার চিত্র দেখে গিয়ে এক্সিম ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যানের কাছে বলি। তিনি সঙ্গে সঙ্গে চানাচুর বিক্রেতার বাড়িতে দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি পাকা ঘর নির্মাণের জন্য বলেন। আশাকরি কয়েকদিনের মধ্যেই পাকা ঘর নির্মাণের উদ্বোধন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের চেয়ারম্যান খুবই ভালো মনের মানুষ। তিনি গরিব মানুষের সেবায় নিয়জিত। নজরুল ইসলামের পাকা ঘর নির্মাণ হলেই তার বাড়িতে বিদ্যুতের আলোও জ্বলবে। এ বৃদ্ধ বয়সে যাতে তাকে আর ভারে করে চানাচুর বিক্রি করতে না হয়, সেই ব্যবস্থাটুকুও করবেন আমাদের চেয়ারম্যান। সেই সঙ্গে নজরুল ইসলামের বাস্তব কাহিনী গণমাধ্যমে তুলে ধরায় ঢাকাপ্রকাশের কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিকে ধন্যবাদ জানান এ ব্যাংক কর্মকর্তা।
এসএন
