শীতে কাঁপছে নওগাঁ
নওগাঁর তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে
উত্তরাঞ্চলে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। এর রেশ পড়েছে নওগাঁয়ও। কনকনে শীতের তীব্রতায় একেবারেই নাজেহাল অবস্থায় খেটে-খাওয়া মানুষ ও দিনমজুরেরা। প্রচণ্ড ঠান্ডা ও হিমেল হাওয়ায় বাইরে বের হয়ে কোনো কাজ করার জো নেই তাদের। গরম কাপড়ও তেমন কাজে আসছে না।
নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া উপকেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (২০ ডিসেম্বর) নওগাঁয় সকাল থেকে ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করছে।
নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া অফিসের সহকারী পর্যবেক্ষণ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ঢাকাপ্রকাশকে জানান, নওগাঁয় আজকে তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। শীতে চরম বিপাকে পড়েছে খেটে-খাওয়া দিনমজুর শ্রেণির মানুষ। ঘন কুয়াশার মধ্যেই মাঠে-ঘাটে কাজ করছে কর্মজীবীরা। শীতের কারণে সন্ধ্যার সঙ্গে সঙ্গে লোকজনকে ঘরে ফিরতে দেখা গেছে।
রিক্সা চালক সাইদুর ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, কুয়াশা ও কনকনে শীতের তীব্রতায় তো জীবন আর চলে না। বাইরে বের হওয়া যাচ্ছে না। ঠান্ডা বাতাসে রিক্সায় বসে থাকার উপায় নেই। জানি না এ অবস্থা আর কদিন থাকবে। এই অবস্থা বেশি দিন থাকলে চরম বিপদে পড়তে হবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সামসুল ওয়াদুদ ঢাকাপ্রকাশকে জানান, তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় জেলার বীজতলা ও আলু ফসলের তেমন কোনো ক্ষতি হবে না। বীজতলা রক্ষায় প্রতিদিন সকালে এক ঘণ্টা করে গরম পানি দিতে হবে। বিভিন্ন প্রকার ওষুধ স্প্রে করতে হবে। কুয়াশা বাড়লে প্রয়োজনে পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে দিতে হবে। রোদের পরিমাণ বাড়লে ক্ষতির পরিমাণ কমে যাবে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, জেলায় শীতের তীব্রতা বাড়লেও সেভাবে দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু হয়নি সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে।
অপরদিকে শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। জেলার প্রতিটি হাসপাতালে রোগী ভর্তি থাকলেও জেলার কোথাও এখন পর্যন্ত শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে কোনো শিশু বা বৃদ্ধের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যায়নি।
টিটি/