ঈদে যানজট: ঢাকা-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক পরিদর্শন প্রকল্প কর্মকর্তাদের
ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে যানজটরোধে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন করতে প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মহাসড়ক পরিদর্শন করেছেন।
মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) মহাসড়কের টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের গোড়াই ও কালিহাতীর এলেঙ্গাসহ বিভিন্ন স্থানে পরিদর্শন করেন কর্মকর্তারা।
পরিদর্শনকালে সাসেক-২ এর প্রকল্প পরিচালক ডা. মোহাম্মদ ওয়ালিউর রহমান বলেন, ২০১৯ সালের সাসেক-২ এর মাধ্যমে এলেঙ্গা-রংপুর মহাসড়কের কাজ শুরু হয়। কিন্তু করোনার কারণে প্রায় এক বছর কাজের ক্ষতি হয়। এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধুসেতু পর্যন্ত মহাসড়কের টেন্ডারের জটিলতা ছিল। এর ফলে ওয়ার্ক অডার দিতে দেরি হয়। তবে গত ডিসেম্বরে ওয়ার্ক অডার দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, দ্রুতই এ অংশে কাজ শুরু হবে।
তিনি আরও বলেন, তবে এবারের ঈদযাত্রায় মহাসড়কের এলেঙ্গা অংশে আইল্যান্ড করে দেওয়া হচ্ছে। যাতে নির্বিঘ্নে গাড়ি চলাচল করতে পারে। অপরদিকে, বিকল্প রাস্তাও তৈরি করা হয়েছে। বিকল্প রাস্তাগুলো হাইওয়ে পুলিশ পর্যবেক্ষণ করবেন। সিরাজগঞ্জের কড্ডার মোড়ে রাস্তা প্রশস্ত করা হয়েছে।
একইসঙ্গে সিরাজগঞ্জের নলকা ব্রিজ ঈদের আগে আগামী ২৫ এপ্রিল খোলে দেওয়া হবে। আশা করছি, সব মিলিয়ে সকলের প্রচেষ্টায় ঈদযাত্রায় যানবাহন নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবে। তিনি চালকদের লেন সঠিক রেখে গাড়ি চালাতে অনুরোধ করেন।
এ সময় সাসেক-২ এর প্রকল্প পরিচালক ডা. মোহাম্মদ ওয়ালিউর রহমান ছাড়াও সাসেক-১ এর অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক নূরে আলম, টাঙ্গাইল সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শহীদুল ইসলামসহ সড়ক বিভাগের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে উত্তরবঙ্গসহ ২৪ জেলার যানবাহন চলাচল করে। ঈদযাত্রায় প্রতি বছরই ঢাকা-টাঙ্গাইল-মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে, এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পার পর্যন্ত দুই লেন হওয়ায় এ ১৩ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের তীব্রতা বেশি। এতে চরম ভোগান্তিতে পরেন যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা।
এ মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতু উপর দিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতিদিন ১২ থেকে ১৩ হাজার যানবাহন পারাপার হয়। ঈদের আগে ৩৫ থেকে ৩৬ হাজার যানবাহন পারাপার হয়। স্বাভাবিকের চেয়ে অধিক যানবাহন পারাপার হওয়ায় দুই লেনের সড়কে যানজট লেগে যায়।
এমএসপি