১৫ টাকা বেশি নেওয়ায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা!
৭৫০ টাকা দিয়ে কেনা জুতার দাম বিকাশ পেমেন্টে ৭৬৫ টাকা নেওয়ায় ব্যবসায়ীকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। প্রতিষ্ঠানটির রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হাসান-আল-মারুফ এই জরিমানা করেন।
জানা যায়, দোকানে জুতা কেনার পর বিকাশের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করেছিলেন রাজশাহীর আবদুর রহিম নামের এক যুবক। এ জন্য ৭৫০ টাকার জুতার দামের সঙ্গে অতিরিক্ত ১৫ টাকা নিয়েছিলেন ‘নাজ সুজ’ নামের ওই জুতার দোকানের বিক্রয়কর্মী। এ কারণে প্রতিষ্ঠানটিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
ভোক্তা অধিকারের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হাসান-আল-মারুফ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আবদুর রহিম সম্প্রতি নগরীর বাটার মোড়ের নাজ সুজ থেকে জুতা কেনেন। বিকাশে পেমেন্টের সময় জুতার দামের সঙ্গে অতিরিক্ত ১৫ টাকা কেন নেওয়া হয়েছিল তার কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি বিক্রয়কর্মী। তাই ১০ এপ্রিল আবদুর রহিম তাদের কার্যালয়ে অভিযোগ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে উভয়পক্ষকে শুনানির জন্য ১৩ এপ্রিল ডাকা হয়। কিন্তু অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের মালিক শামসুল আলম উপস্থিত হননি।
এ কারণে আবার নোটিশ করে সোমবার (১৮ এপ্রিল) ডাকা হয়। এ দিন তিনি উপস্থিত হন। এ সময় উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে শুনানি হয়। তখন অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়ে শামসুল আলম কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি।
তিনি ভুল স্বীকার করে বলেছেন, কাজটা তার দোকানের বিক্রয়কর্মীরা করেছেন। এ কারণে প্রতিষ্ঠানটিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
হাসান-আল-মারুফ আরও জানান, শামসুল আলম জরিমানার অর্থ পরিশোধ করেছেন। তারপর আইন অনুযায়ী জরিমানার ২৫ শতাংশ হিসেবে ১ হাজার ২৫০ টাকা অভিযোগকারীকে দেওয়া হয়েছে। বাকি টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করা হয়েছে।
এদিকে, সোমবার (১৮ এপ্রিল) নগরীর পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে ১১ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
প্রতিষ্ঠানটির রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হাসান-আল-মারুফ ও সহকারী পরিচালক (মেট্রো) ওসমান গনীর নেতৃত্বে মহানগরের বোয়ালিয়া ও রাজপাড়া এলাকায় পৃথকভাবে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
তেরখাদিয়া এলাকায় আসলাম পান স্টোরকে মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য (প্যাকেট আটা) বিক্রয় ও বিক্রয়ের জন্য সংরক্ষণ করার অপরাধে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ধারা ৫১ অনুযায়ী ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বিসিক শিল্প নগরী এলাকায় আহার ফুড ইন্ড্রাস্টিজকে মোড়কজাত পণ্য উৎপাদনের তারিখ ও সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয়মূল্য না থাকার অপরাধে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩৭ অনুযায়ী ৫ হাজার টাকা, লক্ষ্মীপুর এলাকায় রাজশাহী মিষ্টি মেলাকে মোড়কজাত পণ্য (দই) উৎপাদনের তারিখ, মেয়াদ উত্তীর্ণ তারিখ ও সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয়মূল্য না থাকার অপরাধে ৩ হাজার টাকা ও তেরখাদিয়া এলাকায় আনার স্টোরকে মোড়কজাত পণ্য (দুলহান কেশ কালার) সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয়মূল্য না থাকার অপরাধে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এমএসপি