বরিশালে ঈদবাজারে শিশুদের পোশাকে চড়া দাম
বরিশাল চকবাজার ও পদ্মাবতীতে আসন্ন ঈদ উপলক্ষে বেচাকেনা শুরু হলেও সেভাবে জমে ওঠেনি। ক্রেতাদের অভিযোগ, দামের সঙ্গে শিশুদের পোশাকের মানের সামঞ্জস্য নেই। আর বিক্রেতাদের দাবি, ২০ রোজার পরে ঈদ মার্কেট জমে উঠবে। আর পোশাকের সরবরাহ কম থাকায় দাম একটু বাড়তি চলছে।
নগরীর চকবাজার ও পদ্মাবতী এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, সিটি মার্কেট, রুপশ্রী মহল, মমতা কমপ্লেক্স, বিন্দু বাজার, বুনন, কুন্ডেশ্বরী বস্ত্রালয়, শাড়ি মিউজিয়াম, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর ও পালকী শপিংমলে মোটামুটি রয়েছে ক্রেতাদের ভিড়। তবে শিশুদের পোশাকের দাম আগের চেয়ে কিছুটা বাড়তি। ৮০০ থেকে তিন হাজার টাকার মধ্যে শিশুদের দেশি-বিদেশি পোশাক পাওয়া যাচ্ছে এখানে।
চকবাজারে বুনন শপিংমলের ক্রেতা মোসাম্মদ শিউলী আক্তার ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, 'ঈদে শিশুদের পোশাকের দাম আগের তুলনায় বেড়েছে। কিন্তু সেই তুলনায় কাপড়ের মান নেই।'
একই শপিংমলের অন্য এক ক্রেতা মো. শহিদুল বলেন, 'মার্কেটের অনেক শপিংমলে ঘুরেছি। প্রতি বছরই আমি আমার বাচ্চাদের জন্য ঈদের কাপড় কিনি। কিন্তু এ বছর আগের তুলনায় দাম কিছুটা বেশি মনে হচ্ছে।'
বুনন শপিংমলের সত্ত্বাধিকারী মো. হোসাইন ভুইয়া ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, 'আজ ১৩ রোজা চলছে কিন্তু সেভাবে এখনো বেচা-বিক্রি শুরু হয়নি। অন্যান্য ঈদে ১০ রোজার পরপরই বাজার জমে উঠলেও এবার তা হয়নি। পোশাকের দাম এবার একটু বাড়তি জানিয়ে তিনি বলেন, এবারে ক্রেতা কম, তবে ২০ রোজার পরে ঈদের বাজারে ক্রেতা বাড়বে বলে আশা করেন এই ব্যবসায়ী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শপিংমলের শিশু পোশাকবিক্রেতা জানান, এ বছর ঈদের বাজারে শিশুদের তেমন কোনো নতুন ডিজাইনের পোশাক বাজারে ওঠেনি এখনো।
তবে যেসব পাইকারি মার্কেট থেকে তারা পোশাক সরবরাহ করে তারা এ বছর পর্যাপ্ত ব্যাংক ঋণ সুবিধা না পাওয়ায় ঈদের পোশাক সরবরাহ কম, দামও বেশি বলে জানান এই ব্যবসায়ী।
এদিকে, ঈদবাজার নিয়ে বাড়তি নজরদারি শুরু করেছে চকবাজার-কাটপট্টি-পদ্মাবতী-লাইনরোড ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুর রহিম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, 'ঈদ বাজারে ক্রেতাদের নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা সিকিউরিটি-গার্ড বাড়িয়েছি।
এ ছাড়া ক্রেতাদের ভিড় সামাল দিতে শুক্রবার বন্ধের দিনও চকবাজার ও পদ্মাবতী খোলা রাখা হয়েছে। এতে ক্রেতারা সুবিধামত কেনাকাটা করতে পারবে বলে জানান তিনি।
এমএসপি