আওয়ামী লীগ নেতাকে মারধরের ভিডিও ভাইরাল, মামলা
বরগুনায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকে বিবস্ত্র করে এক নারী মারধরের ঘটনায় চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। এ মামলার তদন্তে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (১৭ এপ্রিল) দিবাগত রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী সাইমুল ইসলাম রাব্বি।
তিনি জানান, বরগুনা সদর উপজেলার নলটোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাদী হয়ে রবিবার বরগুনা মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে মামলাটি করেন।
মামলায় নারীসহ চারজনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিরা হলেন- মো. আতিকুর রহমান সগীর (পাইপ সগীর), লিপি আক্তার রিমা, জাকির ফকির ও মো. জাহিদ।
সংঘবদ্ধ চক্র পরিকল্পিতভাবে জিম্মি করে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে। মামলার বাদী মো. শাহ আলম জাকির বরগুনা সদর উপজেলার নলটোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। পাশাপাশি তিনি বাবুগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
বাদী শাহ আলম অভিযোগ করে বলেন, ‘ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমি বিভিন্ন সময়ে লোকজনকে সরকারি-বেসরকারি নানা ধরনের সহায়তা পেতে সহযোগিতা করে আসছি। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে মুঠোফোনে কল করে আসামি লিপি আক্তার রিমা নিজেকে অসহায় দাবি করে আমার কাছে সহায়তা চায়। আমি তাকে সহায়তার আশ্বাস দেই এবং মাঝে মাঝে ফোনে কথা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত ৭ এপ্রিল বিকালে রিমা আমাকে ফোন করে সাক্ষাতে কথা বলতে বরগুনা পৌর শহরের ধানসিঁড়ি সড়কে এক নিকটাত্মীয়ের বাসায় আসতে বলেন। ওই দিনই রাত সাড়ে ৯টার দিকে ধানসিঁড়ি সড়কের বাসায় গেলে সেখানে কয়েকজন অপরিচিত ব্যক্তি ঘরের দরজা বন্ধ করে আমাকে মারধর এবং এক পর্যায়ে রিমা জুতাপেটা করে এসব দৃশ্য মুঠোফোনে ধারণ করেন। পরে ওই ব্যক্তিরা ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।’
চাঁদার টাকা না দিলে ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় বলে জানান শাহ আলম। তিনি বরেণ, ‘পরে আমার ছেলের মাধ্যমে আসামিদের ৬০ হাজার টাকা দিয়ে জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে বাড়ি চলে যাই। ঘটনার একদিন পর রিমা কল করে বাকি টাকা চান। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।’
বাদীর আইনজীবী সাইমুল ইসলাম রাব্বি বলেন, ‘মোটা অঙ্কের চাঁদা আদায়ের উদ্দেশ্যে জিম্মি করে ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইলিং করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনি আদালতের কাছে বিচার প্রার্থনা করেছেন।’
এদিকে জুতাপেটার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা শাহ আলমের বিরুদ্ধে (১২ এপ্রিল) উপজেলা আওয়ামী লীগের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন এবং শনিবার তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় উপজেলা আওয়ামী লীগ। সেই সঙ্গে ঘটনার তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটিও করা হয়।
এসএন